শুদ্ধি অভিযানের উত্তাপ লেগেছে কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামে

খাদ্য পরিদর্শকসহ বদলি ২

চলমান দুর্নীতিবিরোধী ও শুদ্ধি অভিযানের উত্তাপ লেগেছে কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামেও। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সিন্ডিকেট তৈরি করে দুর্নীতি করে যাওয়া উপ-খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলামকে ইতোমধ্যে চাঁদপুরের সিএসবিতে বদলি করা হয়েছে।

পাশাপাশি খাদ্য পরিদর্শক রাজিয়া বেগমকে নিজ কর্মস্থল মহেশখালীতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলির জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তার বরাবরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) দেবদাস চাকমা বলেন, রাজিয়া ও কামরুলকে বদলিকৃত জায়গায় যোগদানের জন্য রোববার (৩ নভেম্বর) অবমুক্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।’

গত ২৫ অক্টোবর কক্সবাজার সদর খাদ্য গুদামে রোহিঙ্গাদের জন্য গুদামজাত করা চালের বস্তায় ৫০ কেজির স্থলে ৩০ কেজি পাওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং সদর খাদ্য কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ও গুদামের দারোয়ান রিদুয়ানকে আটক করে। পাশাপাশি গুদামটি সিলগালা করে দেয় যা বর্তমানেও রয়েছে। এ সংক্রান্ত সচিত্র সংবাদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে বিষয়টি জানার জন্য সদর খাদ্য কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ও বদলির আদেশ পাওয়া কামরুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।

COXSBAZAR-GUDAM-NEWS--2

অভিযানের পর কামরুল পলাতক থাকায় মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যাচ্ছে। নিতান্তই পরিচিতজন ছাড়া কারো মোবাইল ধরেন না বলে কামরুলের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে সদর খাদ্য গুদামের অনিয়ম নিয়ে গঠিত কমিটি মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গঠিত তদন্ত কমিটিতে মহেশখালী খাদ্য কর্মকর্তা, উখিয়া খাদ্য কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহজাহান আলী রয়েছেন।

এ কমিটি নিবিড়ভাবে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাহান আলী।

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে কিছু আর্থিক অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া চালের মান, আর্দ্রতা, গুণগতমান বজায় আছে কিনা তা যাছাই করার জন্য খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সদর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি যারা চালবাজির সাথে জড়িত সেসব অসাধু চাউল ব্যবসায়ীদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!