শীতের সবজির চড়া দাম পটিয়ার বাজারে

পটিয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না। উল্টো সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম বেড়ে গেছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন— বৃষ্টির কারণে কিছুটা বাড়তি দামে তাদের সবজি কিনতে হয়েছে; এ কারণেই দাম কিছুটা চড়া।

রোববার (৩ নভেম্বর) শান্তির হাট, ফকিরনীর হাট, কলেজ বাজার, কমল মুন্সির হাট, আমজুর হাট, থানা হাটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ‘সবজির দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে নেই। নতুন করে কিছু সবজির দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা বা তার বেশি দামে। দুয়েকটি বাদে বাকি বেশিরভাগ সবজির দামও ১০০ টাকার কাছাকাছি। সবজির এমন দাম শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

সজীব হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে কার্যকরী মনিটরিং নেই। যে কারণে হুটহাট করে একটার পর একটা পণ্যের দাম বাড়ছে। দুম-দাম করে পণ্যের দাম বাড়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়।’

পটিয়ার কাঁচাবাজার ঘরে দেখা গেছে, শীতের আগাম সবজি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগমের পাশাপাশি সব ধরনের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দাম বেড়ে বেগুনের কেজি কিছু কিছু বাজারে ৮০-৯০ টাকায় উঠেছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। তবে এখনও কিছু কিছু বাজারে বেগুনের কেজি ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের সঙ্গে নতুন করে দাম বেড়েছে গাজর ও টমেটোর। মান ভেদে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৮০ টাকা কেজি। এদিকে গত সপ্তাহে ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা।

নতুন করে দাম না বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের আগাম সবজি শিম, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি। শিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। শীতের আগাম সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, ঝিঙে, বরবটি, পটল, ঢেঁড়সসহ সব ধরনের সবজি। গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পিস।

করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। চিচিংগা, ঝিঙা, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে।

ক্রেতা কামরুন নাহার বলেন, সবজিও আমাদের ক্রয়সীমা অতিক্রম করছে। বাজারে এলে চিন্তাই বেড়ে যায়। শীতেও এতো বেশি দামে সবজি কিনতে হলে আমরা খাবো কী?

সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি নেই। আড়তে গেলে সব ধরনের সবজি চাহিদা অনুযায়ী কেনা যাচ্ছে। কিন্তু দাম বেশি। যে কারণে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে যে হারে বাজারে সবজি আসছে তাতে দাম কমে যাওয়া উচিত।

শান্তির হাটের সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, কিছুদিন আগে হঠাৎ করে দুদিন বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছু সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম এখনও কিছুটা চড়া। তবে আমাদের ধারণা শিগগিরই সবজির দাম কমবে। সবজির দাম বাড়ার পেছনে কোনো কারসাজি নেই। কাঁচামাল মজুত করে রাখা যায় না। একদিনের মাল আর একদিন নিয়ে গেলেই পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পেঁয়াজের মতো মজুত করে রেখে সবজির দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। সবজির দাম স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়ে আবার কমে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!