শিশু ধর্ষণ করে মাদ্রাসার শিক্ষক পালিয়ে ছিল ‘বেয়াই বাড়িতে’

বাড়ির পাশের ফোরকানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক তিনি। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কোরান শিক্ষা দিতেন তিনি। ফোরকানিয়া ছুটি হলে সবাই চলে গেলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলে রেখে দিতেন ১১ বছরের এক শিশুকে। এরপর নির্জনতার সুযোগ নিয়ে শিশু মেয়েটিকে ধর্ষণ করতেন শিক্ষক মোজাম্মেল হক। পরে শিশুটির অভিভাবক ঘটনাটি জানতে পেরে থানায় মামলা করলে মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন চাম্বল এলাকার অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক (৫৫)।

বাঁশখালী থেকে পালিয়ে মোজাম্মেল আশ্রয় নেন কুমিল্লায় বেয়াই বাড়িতে (ছেলের শ্বশুরবাড়ি)। সেটি জানতে পেরে রোববার (২ নভেম্বর) সেখানে থেকে ধরে নিয়ে আসেন র‌্যাব-৭ এর একটি দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর এএসপি মাহমুদুল হাসান মামুন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল গ্রামের সন্ধিপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। ওই মাদ্রাসায় অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সাথে পড়তো স্থানীয় এক দিনমজুরের মেয়ে। ছুটির পর মেয়েটিকে রেখে দিয়ে গত একমাসে চারবার ধর্ষণ করেন ওই মাদ্রাসা শিক্ষক। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি মেয়েটির বিয়ের সময় অনেক টাকা দেওয়ারও প্রলোভন দেখান মোজাম্মেল। কিন্তু বিষয়টি জানার পর গত ১৯ অক্টোবর মেয়েটির মা বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন মোজাম্মেল।

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!