শিশুদের ওষুধ নিয়ে ব্যবসা/ খবর প্রকাশের পর মাঠে নামলো প্রশাসন

শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ওষুধ প্রশাসন মাঠপর্যায়ে তদারকি করছে। হাতেনাতে বেশি দামে ওষুধ বিক্রিকালে তিনটি ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আপনাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা সরেজমিনে ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তিনটি ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। অভিযানের খবর পেয়ে অন্যরা সতর্ক হয়ে যাওয়ায় তিনটিতেই অভিযান সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে। অতিরিক্ত মূল্যের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই, অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (১২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এপিক মার্কেটের সাথী ফার্মেসিকে ২০ হাজার, গাজী ফার্মেসিকে ১৫ হাজার ও ডায়মন্ড ফার্মেসিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান আলীর ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য এবং বিক্রির অনুমোদন নেই এমন ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উল্লেখ্য, আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বাজারে শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অসাধু চক্র বেশি দামে বিক্রি করছে বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে। তবে তা ঈদের আগে পরে চরম আকার ধারণ করে। জ্বর ব্যাথার পাঁচ টাকা দামের সাপোজিটরি ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রির অভিযোগ আছে। বিশ টাকার প্যারাসিটামল গ্রুপের সিরাপ ত্রিশ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেড় টাকার টোফেন ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে চার টাকা দামে।

তবে সব ব্যবসায়ী মুনাফালোভী নয়। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মেহেদীবাগের মডেল ফার্মেসিতে গিয়ে নায্যমূল্যে অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত মূল্যে ওইসব ওষুধ কিনতে পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে মডেল ফার্মেসির মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার ক্রয়মূল্য কম, বিক্রি কেন বেশি করবো? তবে যা চাহিদা দিয়েছি কোম্পানি প্রতিনিধিকে তিনি কিছু ওষুধ অর্ধেক, কিছু ওষুধ অর্ধেকের চেয়েও কম সরবরাহ করেছেন।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!