শিশুখাদ্যে খেলনা থাকলেই শাস্তি

চিপসের প্যাকেটে ছোট ছোট খেলনা দেওয়া থাকে। স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চারা তা মুখে নেয়। অনেক সময় গিলেও ফেলে। এক্ষেত্রে সেটা চলে যায় শ্বাসনালিতে। এতে শিশু প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভোগে। খেলনা যদি বড় আকারের হয়, তাহলে মৃত্যুঝুঁকিতেও পড়ে যেতে পারে।

খাদ্যপণ্যে শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য প্লাস্টিকের খেলনা বা স্টিকার দেওয়া হয় অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্যে। এ বিষয়ে হাইকোর্টের এক নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। খেলনা বা স্টিকার দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে এসবের ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসটিআই।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসটিআই থেকে সার্টিফিকেশন মার্কস লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের প্রলুব্ধ করার জন্য চিপসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্যাকেটে খেলনা, স্টিকার ইত্যাদি ব্যবহার করে বাজারজাত করছে। এতে খাদ্যদূষণের পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিপসসহ শিশু খাদ্যপণ্যে খেলনাজাতীয় জিনিস ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিএসটিআই। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব খেলনা ব্যবহার করছে, তাদের ওই সব পণ্য বাজার থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিপসের প্যাকেটে খেলনা ঢুকিয়ে কিভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে গত ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) প্রতিবেদন দিতে বলেন। এর আগে ৪ নভেম্বর এডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে রিট আবেদন করেন। এছাড়া চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য শিশু খাদ্যপণ্যের প্যাকেটের মধ্যে খেলনা না দিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাণিজ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিং, ইনগ্রিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিংকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!