শিল্পী জনি হত্যার প্রতিবাদে ঈদগড়-ঈদগাঁও-বাইশারী সড়কে হরতাল

শিল্পী জনি রাজ দে কে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়। হরতালের সমর্থনে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শত শত মানুষ। একই সঙ্গে পালিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচি। হরতালের কারণে সকাল থেকে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণ।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে হরতালের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে এই হরতাল পালিত হয়।

এদিকে, মানববন্ধনে বক্তারা মো. কালু ও শিল্পী জনি দে রাজ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে সেনা-বিজিবির ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানান। মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন ঈদগড়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈদগড় এএমবি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি নুরুল আবছার, প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সাবেক সাঃ সম্পাদক ও শিক্ষক রশীদুল আলম রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক শাহা মোহাম্মদ তৌহিদ ইসলাম, অর্থ সম্পাদক নুরুল হুদা, ছাত্র নেতা হারুন রশিদ, মামুন রশিদ ঢাবির আইন বিভাগের ছাত্র মহি উদ্দিন, মুমিনুল হক, কৃষি অফিসার আবু আলা-আসাদ বাবলু, প্রাক্তন ছাত্র সংসদের দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদ, হিন্দু ঐক্য পরিষদ সভাপতি বাবু অদির দে প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর সকালে সিএনজি অটোরিকশায় সংঘটিত মুখোশধারী ডাকাতির ঘটনায় শিশু শিল্পী জনি দে রাজসহ নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২ জনে। নিহত আঞ্চলিক গানের প্রতিভাবান শিল্পী জনি দে রাজ রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের চরপাড়ার তপন দের ছেলে। তিনি ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই দিন সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী রামু ঈদগড় এলাকার মোহাম্মদ কালু গুরুতর আহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুদিন পর তিনি মারা যান। নিহত মোহাম্মদ কালু কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!