শিল্পকলায় প্রমার ৪৮ তম আবর্তনের সমাবর্তন ও আবৃত্তি সন্ধ্যা

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রমা’র ৪৮ তম আবর্তনের ‘প্রমিত উচ্চারণ ও আবৃত্তি কর্মশালা’র সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১ জানুয়ারি, ২০২০) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আবৃত্তি সন্ধ্যা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান। অতিথি ছিলেন কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দীন এবং সিসিএল এর পরিচালক শ্যামল কুমার পালিত।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রমার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রমার সহ-সভাপতি কংকন দাশ এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম।

মামুরা মমতাজ দীপা ও পার্থ প্রতিম মহাজনের সঞ্চালনা এবং রাশেদ হাসানের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি ‘আমার জন্মভূমি ‘ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর একক আবৃত্তি ও আলোচনা সভা এবং সনদ প্রদান অনুষ্ঠান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন,‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের পথ চলা। প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে নিজেদেরকে তৈরি করতে হবে। আবৃত্তি শিল্পের ভেতর দিয়ে নবীনদের সত্য ও সুন্দরের পথে এগিয়ে দিতে ‘প্রমা’ আবৃত্তি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ভাষা-আন্দোলন,স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং গুণীজনদের স্মরণ করে একমাত্র প্রমা সংগঠন। বাঙালিদের সবগুলো উৎসব কিভাবে মানুষের মনে প্রোথিত করা যায়, প্রমা তা নিয়ে কাজ করে। এ ধরনের কর্মশালা শুধু শিক্ষা দেয়না, ভেতরে আলো জাগায়,সংস্কৃতিবান করে তোলে। একটি কাজের মধ্য দিয়ে সময়কে যদি ধরে রাখা না যায়,তাহলে সেই কাজের কোন মূল্য থাকেনা। আমরা আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে সময়কে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে সাহিত্যের মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।’

একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন- তাহফিমুল জান্নাত,আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর,‘কোন এক মাকে’ কবিতাটি। দীপান্বিতা চৌধুরী,সুবোধ সরকারের ‘ কৃষ্ণকলি মাহাতো’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সার্থক জন্ম আমার’ অবৃত্তি করেন প্রিয়াংকা দাশ,‘প্রশ্ন’ শ্রাবন্তী বড়ুয়া,‘ছোট-বড়’ উৎসব কুমার শীল,‘কৃপন’ জয়শ্রী মজুমদার,Ô`yB weNv RwgÕ স্নিগ্ধ চৌধুরী। পূর্ণেন্দু পত্রীর ‘আমার সেই গল্পটা’ জান্নাতুল নাঈম প্রিয়তা,সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ সানজিনা আক্তার,নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ হৃদিকা ভট্টাচার্য এবং ‘যাত্রাভঙ্গ’ অনামিকা নাথ। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ শান্তা দাশ,ভবানী প্রসাদ মজুমদারের ‘বাংলাটা ঠিক আসেনা’ টিনা বড়ুয়া,জয় গোস্বামীর ‘নুন’ আমির শাকিল এবং প্রনব ঘোষের ‘টুনি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন সুপন বড়ুয়া।

পার্থ প্রতিম মহাজনের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি ‘স্বাধীনতার পংক্তিমালা’র মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!