পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি ‘উপেক্ষা’ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের সব ধরনের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা স্থগিত না করার দাবিতে আন্দোলনে নামে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সোমবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছে তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ৭৩ এর অধ্যাদেশে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অতএব শিক্ষা মন্ত্রনালয় কী বলেছে তা নয়, শিক্ষার্থীদের দাবির দিকে দেখতে হবে। অবিলম্বে চলমান পরীক্ষার স্থগিতাদেশ বাতিল করতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের বয়স তো থেমে নেই, চাকরি কোথায় পাব? পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণার পর মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারছি না। শিক্ষার্থী হওয়া তো আমাদের অপরাধ না।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন মুখপাত্র চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আমাদের চলমান ও রুটিন দেয়া পরীক্ষা স্থগিত না করা এবং বাস সার্ভিস চালু করার দাবিতে আন্দোলন করছি। প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা তা সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেছি৷ যদি সোমবারের মধ্যে দাবি না মানা হয় তবে আমরা আবার আন্দোলনে নামবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সব ধরনের পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা অযৌক্তিক বিষয়ে আন্দোলন করছে না। আমরা সবদিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে আমরা পরীক্ষা নিয়ে নিবো।
এমআইটি/এমএহক