প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ/ পরীক্ষার্থী অর্ধলাখ হলেও অনুপস্থিত ১৪২০৪ জন!

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১৪ উপজেলা ও ৬ মহানগরে আবেদন জমা পড়ে ৯৮ হাজার ৯৭০টি। চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে অংশ নেওয়ার কথা ছিল ৪৯ হাজার ৭৮২ জন পরীক্ষার্থীর। এর মধ্যে ১৪ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন অনুপস্থিত।

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের ১২টি থানা ও ১০টি উপজেলার ৪৯ হাজার ৭৮২ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৫ হাজার ৫৭৭ জন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘তৃতীয় ধাপে ৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৩টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে নগরীর বাকলিয়া সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা নির্দেশনা মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারায় শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বলেও অভিযোগ উঠে। পরীক্ষা দিতে না পেরে কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভও করেন অনেক পরীক্ষার্থী।

অংশ নিতে না পারা পরীক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের দেশের যানজট নিয়ে বলার কিছু নেই! সবার তো নিজের গাড়ি নেই।পাবলিক বাসেই আমাদের সম্বল। পরীক্ষা শুরুর প্রায় ৪০ মিনিট আগে এসেও পরীক্ষাটা দিতে পারলাম না!’

আরেক পরীক্ষার্থী রুপক উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সিট তো আর বাসার কাছে পড়ে না। সময় নিয়ে বের হওয়ার পরেও প্রায় ২০ মিনিট আগেই পৌঁছে লাভ হয় নাই। কেন্দ্র পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। এতো বলার পরেও তাদের মন গলেনি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া আছে প্রবেশপত্রে। তারপরেও কেউ নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে আসতে না পারলে আমাদের কিছুই করার নেই।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!