শিক্ষকের মারধরে মাদ্রাসা ছেড়ে পালালো চার কিশোর

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষকদের মারধর সইতে না পেরে রাতে মাদ্রাসা থেকে চার শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছে। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট এলাকার দারুল তাকওয়া লি-তাহফীজিল কোরআনিল কারীম নামে একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া চার শিক্ষার্থী হলো উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পরুয়াপাড়ার মোহাম্মদ ফয়সাল, বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের জাগির পাড়ার মোহাম্মদ, একই ইউনিয়নের গোবাদিয়ার মোহাম্মদ এহেছান ও বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের বাণী গ্রামের মোহাম্মদ মিজান। সবার বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানায়, বটতলী রুস্তমহাটে হাজী ইমাম শপিং কমপ্লেক্স (জামাল মার্কেট) ২য় তলায় ‘দারুল তাকওয়া লি-তাহফীজিল কোরআনিল কারীম’ নামে মাদ্রাসায় শুধু পবিত্র কোরআন শেখানো হয়। সেখানে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে পড়ান আটজন শিক্ষক। রোববার রাত ১০টার দিকে সেখানকার ছাত্রাবাস থেকে চার শিক্ষার্থী শিক্ষকদের মারধর সইতে না পেরে পালিয়ে যায়। রাত দেড়টার দিকে চারজন পারকি এলাকার দিকে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের নিজ নিজ অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষকদের মারধরের আঘাত সইতে না পেরে তারা পালিয়েছে।

পারকি এলাকার বাসিন্দা মো. সোহেল শাহ্ বলেন, পালিয়ে আসা ছাত্রদের রাতেই অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‌‘পড়ার চাপ সইতে না পেরে চার শিক্ষার্থী পালিয়ে যায়।’

বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, ‘এলাকার লোকজন ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় চার শিক্ষার্থীকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এভাবে শিক্ষার্থীদের মারধর করা উচিত হয়নি।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!