প্রতিদিন রিপোর্ট : শিক্ষকদের প্রতি অবহেলা ও বৈষম্য সৃষ্টি করে কখনো অগ্রসর হওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের অনুরূপ বৈশাখী ভাতা দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশব্যাপী কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা মানুষ ও জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষার অগ্রগতির উপর দেশের অর্থনৈতিক ও সমাজিক অগ্রগতি তথা প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ সফলতা নির্ভর করছে। শিক্ষার সিংহভাগ দায়িত্ব পালনকারী বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় বৈশাখী ভাতা না দিয়ে এবং পে-স্কেলের ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্ট শিক্ষকদের বঞ্চিত করে দেশ ও জাতির উন্নয়ন হবে না। শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা ও ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্টসহ ন্যায্য দাবিগুলোর ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি-বাকশিস সভাপতি অধ্যক্ষ দবির উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাকশিস এর কেন্দ্রিয় সহ-সভাপতি ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের চৌধুরী।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ৫ লাখ শিক্ষক কর্মচারীকে বৈশাখী ভাতা দেওয়া হচ্ছে না এবং অষ্টম পে-স্কেলে ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্টও দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বৈশাখীভাতা দেওয়া হচ্ছে না সেটা তিনি জানেন না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করে প্রশ্ন রাখেন আবুল মাল আবদুল মুহিত কোন দেশের অর্থমন্ত্রী? এপ্রিল মাসেই বৈশাখী ভাতা প্রদান করে শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে নববর্ষ পালনের সুযোগ দিন। অন্যথায় বৈশাখী ভাতা, ৫ ভাগ ইনক্রিমেন্ট পদোন্নতি পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, পূর্ণাঙ্গ পেনশন ও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাভাতাসহ অন্যান্য দাবিতে আগামী জুলাই মাসে ৮ বিভাগে মহাসমাবেশ করে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদুল কবির সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ফাউজুল কবির, অধ্যক্ষ সমীর কান্তি দাশ, উপাধ্যক্ষ মকসুদুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক সুকুমার দত্ত, অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দিকী, অধ্যাপক হুমায়ূন কবির চৌধুরী, অধ্যক্ষ এসএম মিছবাউর রহমান, অধ্যাপক শিব প্রসাদ,উপাধ্যক্ষ তৌহিদুল আলম, অধ্যক্ষ হাসিনা মমতাজ জোনাকী, অধ্যাপক সুজিত কুমার দাশ, উপাধ্যক্ষ সৈয়দ উদ্দিন আহমদ,অধ্যাপক জহিরুল আলম, অধ্যাপক বিকিরণ বড়ুয়া, অধ্যাপক আব্দুল আহাদ, অধ্যাপক শাহাদাত হোসাইন, অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, অধ্যাপক শাহ আলম, অধ্যাপক ইসহাক উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মো. সাইফুর রহমান, আক্কাস মিয়া, মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ । প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।