শাহ আমানত সেতুর টোল আদায়ে নতুন বছরে নতুন প্রযুক্তি
নিরসন হবে যানজট
নতুন বছরের শুরু থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর টোল আদায়ে যুক্ত হচ্ছে ফাস্টট্র্যাক প্রযুক্তি। সেতুর ৬টি টোল বুথের মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর বুথে এই প্রযুক্তি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন প্রযুক্তিতে টোল আদায়ের ফলে পাল্টে যাবে শাহ আমানত সেতুর দৃশ্যপট। ম্যানুয়েল পদ্ধতির বিপরীতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) চালুর ফলে নিরসন হবে যানজট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র অপারেশন ডাইরেক্টর অপূর্ব সাহা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গাড়ির গ্লাসে থাকা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগের সঙ্গে টোল গেটের অ্যানটেনার সংকেতের মাধ্যমে টোল আদায় হবে। গাড়ি টোলপ্লাজা পার হওয়ার সাথে সাথে চালকের রকেট একাউন্ট থেকে টোলের টাকা সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাবে চলে আসবে। তবে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য যারা আগে থেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংকের রকেট একাউন্টের মাধ্যমে বিআরটিএ প্রদত্ত আরএফআইডি ট্যাগ ব্যবহার করে রেজিষ্ট্রেশন করবে শুধুমাত্র তারাই বুথ দু’টি (৩ ও ৪ নম্বর বুথ) ব্যবহার করতে পারবে। অন্যান্য সকল মোটরযানের জন্য টোল প্লাজার বুথ নম্বর ১, ২, ৫ ও ৬ পূর্বের কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে টোল আদায়ের অর্ন্তভুক্ত থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রযুক্তিটি হবে একটি ননস্টপ সার্ভিস। অর্থাৎ অনলাইন টোল আদায়ের ফলে আরএফআইডি’র রেজিষ্ট্রেশনকৃত গাড়িগুলোকে টোল আদায়ের জন্য থামতে হবে না। ডাচ বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে মাধ্যমে পূর্বেই টোলের সমপরিমাণ অর্থ কর্তৃপক্ষের একাউন্টে জমা হবে। ফলে নিরসন হবে যানজট।সেই সঙ্গে টোল আদায়ে নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা। তবে এ প্রযুক্তি শুধুমাত্র ৩ ও ৪ নম্বর টোল বুথে সংযুক্ত করা হলেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কেটে যাওয়ার পর পর্যায়ক্রমে বাকি টোল বুথগুলো এ প্রযুক্তির আওতায় আনা হবে।
এএ/এসএ