শামসুসহ ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ৫ পরিচালকের এবার ৫ মাসের জেল

চট্টগ্রামের পুরনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খাতুনগঞ্জভিত্তিক ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেডের (এমইবি গ্রুপ) পাঁচ পরিচালককে ৫ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।

এই পাঁচজন হলেন ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম, তার স্ত্রী পরিচালক কামরুন নাহার, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বোন পরিচালক তাহমিনা বেগম এবং অপর দুই পরিচালক মো. নুরুল আলম ও মো. নুরুল আবছার।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখা থেকে ইলিয়াছ ব্রাদার্সের নেওয়া ৪৫ কোটি ৬৪ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৮ টাকা ঋণের টাকার জন্য মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেডের ৫ পরিচালককে ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ জুন সাউথইস্ট ব্যাংকের ৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামসুল আলমসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। বাকি চারজন হলেন— কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার, পরিচালক মো. নুরুল আলম, কামরুন নাহার বেগম ও তাহমিনা বেগম।

সাউথইস্ট ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ৭৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেসার্স ইলিয়াস ব্রাদার্সের এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি অর্থঋণ মামলা (মামলা নম্বর ৫৪/১২) হয়। এ মামলায় তখন রায়ও ঘোষণা হয়। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়। কিন্তু তারা তা করেনি। একপর্যায়ে সাউথইস্ট ব্যাংক ২০১৩ সালে টাকা ফেরত পেতে একটি জারি মামলা (৭৭/১৩) দায়ের করে। ওই মামলায় তারা আদালতে হাজিরও হন। কিন্তু পরে হাজির হওয়া বন্ধ করে দেন। টাকাও ফেরত দিচ্ছিল না।

চট্টগ্রামে অগ্রণী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ইলিয়াছ ব্রাদার্সের মাধ্যমে জামানত ছাড়াই ইন্দোনেশিয়ায় মালামাল কেনার নামে ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ঋণের টাকা মেরে দেওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালের মে মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করে। ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলমসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে নগরের ডবলমুরিং থানায় ওই মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম।

২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করে ইপিজেড থানা পুলিশ। প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শামসুল আলমের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছিল দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ। ওই মামলা দুটিতে সাজা হয় শামসুল আলমের।

শামসুল আলম চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসন থেকে বিএনপি মনোনয়নে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এরপর কিছুদিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে এখনও তার নাম রয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!