চট্টগ্রামের শিল্পপতি ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুল আলমসহ ৫ পরিচালককে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখার ১৮৩ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭৩ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেডের ৫ পরিচালককে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান।
ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামসুল আলম ছাড়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়া অন্যরা হলেন— ইলিয়াছ ব্রাদার্স লিমিটেড কোম্পানি ও এডিবল অয়েল রিফাইনারি ইউনিট-২ এর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, পরিচালক মো. নুরুল আলম, পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্ত্রী) কামরুন নাহার বেগম ও পরিচালক তাহমিনা বেগমের (নুরুল আবছারের স্ত্রী)।
চট্টগ্রামের মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্সের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে ২৮০ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকে ২৭০ কোটি, ইস্টার্ন ব্যাংকে ৭৩ কোটি, এবি ব্যাংকে ৬২ কোটি, ইসলামী ব্যাংকে ৬৩ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ৫৫ কোটি, সিটি ব্যাংকে ৫৫ কোটি, ব্যাংক এশিয়ায় ৩৯ কোটি, ওয়ান ব্যাংকে ৩০ কোটি, স্টান্ডার্ড ব্যাংকে ২৪ কোটি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ১৮ কোটি, পুবালী ব্যাংকে ৭ কোটি এবং এক্সিম ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ৪ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ২০১২ সালে মামলা (নম্বর ২০৪/১২) করে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ শাখা। এই মামলায় আদালত ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ৫ পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে ২৩ জুন চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ইলিয়াছ ব্রাদার্স (এমইবি) গ্রুপের পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। সাউথইস্ট ব্যাংকের দায়ের করা অর্থঋণ জারি মামলায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান ওই আদেশ দেন।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন ইলিয়াছ ব্রাদার্স (এমইবি) গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপির নেতা মোহাম্মদ শামসুল আলম, পরিচালক মো. নুরুল আলম, পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্ত্রী) কামরুন নাহার বেগম ও পরিচালক তাহমিনা বেগমের (নুরুল আবছারের স্ত্রী)।
আদালতের তথ্যমতে, এমইবি গ্রুপের কাছ থেকে ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৫ টাকা পাওনা আদায়ে ২০১২ সালে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে সাউথইস্ট ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা। ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটির রায় হয়।
সিপি