শাবিপ্রবি’র ভিসির বাসার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও খাবার সরবরাহে বাধা -চবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসির বাসার বিদ্যুৎ সংযােগ বিচ্ছিন্ন ও খাবার সরবরাহে বাধা দেয়া অবিবেচনাপ্রসূত ও নিন্দনীয় কাজ বলে বিবৃতি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একই সাথে শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুযােগ-সুবিধার দাবির আন্দোলনে হামলা ও দমনকে অগ্রহণযােগ্য বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৩ জানুয়ারি ছাত্রী হলে সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং গ্রহণযােগ্য সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।

মানবিক মূল্যবােধসম্পন্ন মানবসম্পদ গড়ে তােলা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য, সেখানে যেকোনাে পক্ষের অসহিষ্ণু আচরণ অনাকাঙ্খিত। শিক্ষার্থীদের মৌলিক সুযােগ-সুবিধার দাবির আন্দোলনে হামলা ও দমন যেমন অগ্রহণযােগ্য, সম্মানিত শিক্ষকের বাসার বিদ্যুৎ সংযােগ বিচ্ছিন্ন ও খাবার সরবরাহে বাধা দেয়া তেমনি অবিবেচনাপ্রসূত ও নিন্দনীয় কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য উদ্ভূত সমস্যাকে বিলম্বিত না করে সমস্যা সমাধানে সব পক্ষকে আন্তরিক হয়ে আলােচনার টেবিলে বসা একান্ত জরুরি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সরকারের প্রতিনিধির সমন্বয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানপূর্বক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি জোর দাবি জানাচ্ছে।

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তােলার প্রত্যয়ে দেশের মাথাপিছু আয় ও বর্তমান সমাজব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুযােগ-সুবিধা নিশ্চিত করা আবশ্যক বলে আমরা মনে করছি। সর্বোপরি উক্ত সংকট নিরসনে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

এমআইটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!