শহীদুলের বোলিং তোপে কর্নাটককে ৭৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বিসিবি একাদশ

বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্ভাবনার আলো জ্বেলে যাচ্ছেন তরুণ পেসার শহীদুল ইসলাম। বিপিএল এর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও শেখ জামালের হয়ে নিয়মিত উইকেট শিকার করে নিজেকে আলোচনায় রাখেন এই তরুণ তুর্কী। তাসকিন আহমেদ শ্রীলঙ্কা দলে হঠাৎ করে ডাক পাওয়ায় ভারত সফররত বিসিবি একাদশে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় শহীদুলকে। নিজের পাওয়া প্রথম সুযোগকেই কাজে লাগালেন তিনি। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারি একাদশের বিপক্ষে তুলে নেন ৫ উইকেট। তাঁর সাথে উইকেট শিকারে মেতে উঠেন অন্য দুই পেসার আরিফুল হক ও ইবাদত হোসেন। আর তাতে করে মাত্র ৭৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

সোমবার (২২ জুলাই) এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কর্নাটক সেক্রেটারি একাদশ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিসিবি একাদশের পেসার ত্রয়ের যৌথ আক্রমণে অল্পতেই গুটিয়ে যায়।বিসিবি একাদশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪১ ওভারে মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় কর্নাটক সেক্রেটারি একাদশ। দিন শেষে বিসিবি একাদশ ৪৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৩৫ রান। তাতে সফরকারীরা ৫৬ রানের লিড নিয়েছে।

আগের দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নেন বিসিবি একাদশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত করেন শহিদুল। ওপেনার রোহান কাদামকে বোল্ড করার পর তিনে নামা শিভাম মিশ্রাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি স্বাগতিকদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কর্নাটক। কর্নাটক সেক্রেটারি একাদশের হয়ে কেএস দেবায়া সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে প্রাভীন দুবের ব্যাট থেকে। অর্জুন ১২ এবং অভিনব মনোহর ১২ রান করেন।

শহীদুলের বোলিং তোপে কর্নাটককে ৭৯ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বিসিবি একাদশ 1
ঢাকা প্রিমিয়ারে শেখ জামালের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করে নিজের আগমনী বার্তা জানান দেন শহীদুল ইসলাম

বিসিবি একাদশের পেসার শহীদুল ইসলাম ১৬ ওভার বল করে ৭ মেডেনসহ মাত্র ২০ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়েছেন। আরেক পেসার এবাদত হোসেন ১৬ ওভার বল করে ৬ মেডেনসহ ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। আর আরিফুল হক ৯ ওভার বল করে ৪ মেডেনসহ ২২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিসিবি একাদশ দলীয় ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায়। ওপেনার সাইফ হাসান করেন ৩ রান। এরপর সাদমান ইসলাম এবং দলপতি মুমিনুল হক দলের রানের চাকা ঘোরানোর দায়িত্ব নিলেও বেশিদূর এগুতে পারেননি। মুমিনুল ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরলেও সাদমান করেন ৫৯ রান। এই জুটিতে আসে ৩৮ রান। সাদমানের ৯৩ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৯টি চার আর ১টি ছয়ের মার।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে স্কোরবোর্ডে আরও ৩৯ রান তোলেন জহুরুল ইসলাম অমি এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দিন শেষে জহুরুল ২৮ এবং শান্ত ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!