শতদলের অবনমন, শাহজাহান সংঘের পঞ্চম জয়

সিজেকেএস প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ

টানা নবম ম্যাচ হেরে আগামী মৌসুমে প্রথম বিভাগে অবনমন হলো স্টেডিয়ামপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শতদল ক্লাব। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রিমিয়ার লিগে এতো বাজে রেজাল্ট আগে কখনো করেনি শতদল ক্লাব। লিগে এখনো পর্যন্ত জয়ের মুখ না দেখা একমাত্র দল শতদল ক্লাব। এখন বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেও কোন লাভ হবে না শতদল ক্লাবের। তাই আগামী মৌসুমে প্রথম বিভাগেই খেলতে হবে শতদল ক্লাবকে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শতদল ক্লাব ৫১ রানে হেরে যায় ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইস্পাহানি নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পঙ্কজ বিশ্বাস ৬৯ বলে ১১ চারে করেন ৭১ রান। এছাড়া মহিদুল অঙ্কন করেন ৭৫ রান। অঙ্কনের ১২৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল এক হালি চার ও এক ছয়ে। এছাড়া শাহাদাত হোসেন দিপু অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। শতদলের সাকিব নেন ২টি উইকেট।

জবাবে শতদল ক্লাবের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আব্দুল্লাহ আল জাবেদ একপ্রান্তে রানের চাকা নচল রাখলেও তাকে কেউ বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। তাতে অনেকটা হাতের নাগালে থাকা ম্যাচটি জয় বঞ্চিত হয়ে রেলিগেটেড হয়ে গেলো তারা। জাবেদ ১০৭ বলে আটটি চার ও ২টি ছয়ে ৬৭ রান করেন। বাবলু (২২ রান), আশরাফুল (২২ রান)সহ অধিকাংশ ব্যাটসম্যান উইকেটে সেট হয়েও থিতু হতে পারেননি। ইস্পাহানির রিয়াদ তুলে নেন ৩ উইকেট। এছাড়া ফাহাদ ও আদিল নেন ২টি করে উইকেট।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে রাইজিং স্টার ক্লাবকে ষষ্ঠ পরাজয় উপহার দিয়ে নয় খেলায় পাঁচ জয় তুলে নেয় শহীদ শাহজাহান সংঘ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রাইজিং স্টার ক্লাব ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৪ রানের মাঝারি সংগ্রহ করে। তাদের ইনিংসের টপ অর্ডার এবং লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা কেউ সুবিধা করতে পারেননি। পাঁচ এবং ছয়ে ব্যাট করতে নামা নবিন ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন রাইজিং স্টারের ইনিংসের হাল ধরেন। নবিন ৮৫ বলে পাঁচটি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৭১ রান করেন। মামুন করেন ৪৫ রান।

শাহাজাহান সংঘের মহিউল ইসলাম নেন ৩ উইকেট। জবাবে ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা শাহজাহান সংঘ তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৪ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান রাসেল ও বিজয়। রাসেল ১০৯ বলে ১১ চারে ম্যাচ সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন। এছাড়া বিজয় খেলেন ৭১ বলে ৬২ রানের ইনিংস। এ দুজনের বিদায়ের পর আফসারুল করিম ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েনে। রাইজিং স্টারের হয়ে নবিন নেন ৩ উইকেট।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!