লোহাগাড়া ছাত্রলীগের কমিটিতেও ‘টাকার খেলা’, ৬১ সদস্যের পাল্টা কমিটি

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ থামছেই না। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জামায়াত-শিবির পরিবারের সদস্যদের দিয়ে লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে এবার সেই উপজেলায় ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছে পদবঞ্চিতরা।

মাত্র তিন দিন আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের এই উপজেলায় ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন। তিন দিনের মাথায় শুক্রবার (২০ নভেম্বর) জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম জ্যাকি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজা জুয়েল এই উপজেলায় ৬১ সদস্যের পাল্টা কমিটির অনুমোদন দেন।

অন্যদিকে এটিকে ‘অসাংগঠনিক’ অভিহিত করে পাল্টা কমিটির অনুমোদন দেওয়া দুই নেতাকে ‘মাদকাসক্ত’ বলে উল্লেখ করেন তাদের বহিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের।

কার্যনির্বাহী কমিটিকে পাশ কাটিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে বিতর্কিত কমিটি করায় পাল্টা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জ্যাকী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির কারো সাথে আলাপ না করেই এই কমিটি দিয়েছেন। এমনকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে কোন আলোচনা না করে শুধু এমপিকে খুশি করতেই আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বঞ্চিতদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে পরামর্শ করে পাল্টা কমিটি গঠন করেছি।’

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ঘোষিত পাল্টা কমিটির সভাপতি পদে তানজির জিহান ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইরফান বিন ইসহাককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া কমিটিতে একেএম আসিফুর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি ও এরশাদুর রহমান রিয়াদকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

এই বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেন, ’যে দুইজন এই কমিটি অনুমোদন দিয়েছে তারা এডিক্টেড। তাছাড়া এভাবে কমিটি দেওয়ার এখতিয়ারও নেই তাদের। আমরা তাদের বহিষ্কারের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে আলাপ না করেই নতুন কমিটি অনুমোদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাহের বলেন, ‘আমাদের যাদের সাথে আলাপ করা দরকার তাদের সাথে আলাপ করেছি। আমাদের কমিটিতে ২০০-এর ওপর নেতা আছেন। সবার সাথে আলাপ করা তো সম্ভব না। তাছাড়া সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে গঠনতন্ত্র।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!