লোহাগাড়ায় সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ, চলছে বেচাকেনা

করোনা ঝুঁকি এড়াতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গণজমায়েত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও করোনা আতঙ্ক নেই লোহাগাড়ার হাট-বাজার গুলোতে। লোহাগাড়া উপজেলায় মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা। ছুটিতে বাড়ি ফিরে গ্রামে-গঞ্জে প্রতিনিয়ত চলছে মানুষের জমায়েত, খোশগল্প ও আড্ডা।

সরজমিনে উপজেলার নানা এলাকায় দেখা গেছে, লোহাগাড়া সদর বটতলী কাঁচাবাজার, সাহেব বাজার, দরবেশ হাট, আধুনগর খান হাট, চুনতি বাজার, মুনসেফ বাজার, বনপুকুর বাজার, সাতগড় মৌলভী বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিক ও এনজিও বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা কার্যক্রম চালালেও সাধারণ মানুষ তা তোয়াক্কাই করছে না।

করোনাভাইরাসের মহামারির কথা চিন্তা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে ও মানুষদের ঘরে ফিরাতে কক্সবাজার ১০ম পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনীর চৌকস টিম, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, জনসচেতনতায় প্রতিনিয়তই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জীবাণুমুক্ত করতে পুলিশের জলকামান দিয়ে জীবণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে মানুষ তেমনটা সচেতন হচ্ছে না। প্রশাসনের চাপের মুখে মানুষ কিছুটা ঘরমুখী হয়, একদিন পার না হতেই আবারও সেই একই অবস্থা। তারপরও পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জনসচেতনতায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট, জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখতে তারা নিয়মিত চালানো হচ্ছে। হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে কিন্তু মানুষকে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!