লোহাগাড়ায় মহাসড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত, ঝুঁকিতে যান চলাচল

টানা দুইদিনের বর্ষণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার ২৫ কিলোমিটার জুড়েই অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন চলাচল।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমার কারণে একাধিক স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কের পাশে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহনের চাকা থেকে কাঁদাযুক্ত ছিটকে জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে পথচারীদের।

এলাকাবাসীরা জানান, মহাসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বছরের বেশিরভাগই দেখা যায় সড়কের বেহাল দশা। একাধিক স্থানে নামমাত্র সংস্কার হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বেশি দিন টেকে না সড়কটি।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বর্তমানে মহাসড়কের লোহাগাড়ার ঠাকুরদীঘি, পদুয়া, রাজঘাটা, পুরান বিওসি, বটতলী মোটর স্টেশন, আধুনগর খান হাট, চুনতি ডেপুটি বাজার, চুনতি ফরেস্ট অফিসসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী, পথচারী, যানবাহনের চালকরা গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটিতে চরম হতাশা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন। সড়কে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহনগুলো। এতে অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই।

লোহাগাড়া সদরের আলমগীর হোসেন জানান, মহাসড়কে এতগুলো গর্ত, দেখেই মনে হয় এসবের কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ধূলাবালি আর কাঁদাপানিতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায় ও গর্তে পড়ে গাড়িও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পদুয়ার খানে আলম জানান, প্রতিবছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একাধিক স্থান সংস্কারের নামে সরকারের যে বিপুল পরিমাণ টাকার ব্যয় হচ্ছে তার সুফল জনগণ ভোগ করছে কি না কর্তৃপক্ষের জানা দরকার।

বাসচালক আমির হোসেন জানান, সমস্যা বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে ছোট-বড় সংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি জমে থাকলে গর্তগুলো দেখে বোঝা যায় না। ফলে যানবাহন চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও গর্তে পড়ে যানবাহনের অনেক যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন জানান, মহাসড়কে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। বৃষ্টি থামলে গর্তগুলো সংস্কার করা হবে জানান তিনি।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!