লোহাগাড়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষক নিহত

লোহাগাড়ায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাসকুর রহমান সাংবাদিকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ধর্ষক সাইফুল ইসলাম (২৭) উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ পূর্ব মুহুরি পাড়ার আব্দুস সোবহানের পুত্র ও স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের মালিক।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাসকুর রহমান জানান, ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি সাইফুল ইসলাম উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় অবস্থান করছে জানতে পেরে র‌্যাবের একটি টিম তাকে ধরতে অভিযান চালায় ভোরে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সাইফুল তার সহযোগীদের নিয়ে র‌্যাবের উপর গুলি চালায়। র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে সাইফুলের লাশ পড়ে থাকে।

জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষক কর্তৃক হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে। পরে পুলিশ কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়। ঘটনার ৩ দিন পর গত ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলেন। ভিকটিম ওই ছাত্রীসহ একই পরিবারের ৪ সহোদর সেই কোচিং সেন্টারে পড়তো।

ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, ঘটনার আগের দিন আমি বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। পরদিন ১২ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে সাইফুল আমাকে ফোন করে আমি কোথায় আছি তা জানতে চান। আমি বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আছি বলে জানাই। এরপর তিনি আমাদের ঘরে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সাইফুল পালিয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দীর্ঘ এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে ১৮ এপ্রিল মেয়েকে নিয়ে বাড়ি আসি।

ধর্ষণ ঘটনার খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। র‌্যাবের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণ মামলার আসামি নিহতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!