টানা বৃষ্টিতে টংকাবতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ তুলাতলী বাজার এলাকায় ভাঙ্গনের ভয়াবহতা প্রবল আকার ধারণ করেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমিরাবাদ ইউনিয়নের তুলাতলী বাজার সংলগ্ন এলাকা ও নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আকবর ডিসি সড়কের অর্ধকেরও বেশি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ সড়ক দিয়ে উত্তর আমিরাবাদ শীলপাড়া, দয়ারবাপের পাড়া ও চৌধুরী পাড়ার লোকজনসহ প্রায় ৫ হাজার জনসাধারণ যাতায়াত করে। সড়কটি দিয়ে চলাচল করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। বর্ষাকালে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। ভোগান্তি থেকে বাঁচতে এক হাজারেরও অধিক মানুষ বিকল্প সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। স্থানীয়দের অশঙ্কা যে কোনো সময় সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। সড়কটি যদি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় তাহলে ভেসে যাবে এলাকার শতাধিক পরিবার। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙ্গন কবলিত মানুষের অনেকেই দুঃচিন্তায় নির্ঘুম রাতযাপন করছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় ভাঙ্গনের প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও কেউ কথা রাখেনি বলে জানান তারা।
স্থানীয় বাবুল শীল জানান, আকবর ডিসি সড়কটি একটি গুরুত্বপর্ণ রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চবিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী ও জনসাধারণের।
স্থানীয় রাজিব চক্রবর্তী জনান, এ ভাঙ্গন আজকের নতুন নয়। এটি এ এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত আবেদন করেছি। সব জায়গায় শুধু আশ্বাস মিলেছে, কাজের কাজ কিছুই হয় নাই।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকাবাসী এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।’
এএইচ