লোহাগাড়ার ১১ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতেই হবে, হাইকোর্টের আদেশ বহাল

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ১১টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতেই হবে। হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপিল বিভাগে স্থগিত না হওয়ায় এ ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইলো না।

লোহাগাড়ার যে ১১টি ইটভাটা বন্ধে বাধা রইলো না সেগুলো হলো— শাহ মজিদিয়া ব্রিক, এ এইচ ব্রিকস, শাহ জব্বারিয়া ব্রিক ফিল্ড, বার আউলিয়া ব্রিক ফিল্ডস, রুন্তী ব্রিক ম্যানুফাকচারার, আরর ব্রিক ম্যানুফাকচারার, পদ্মা ব্রিকস, মহাজন মসজিদ ব্রিকস, শাহ জব্বারিয়া ব্রিকস, পুটিভিলা মাওলানা ব্রিকস ম্যানুফাকচারার এবং খাজা ব্রিকস।

লোহাগাড়া এই ১১টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ইটভাটা মালিকদের করা আবেদনের ওপর আগামী ১৬ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। ইটভাটা মালিকদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ কামরুল হোসেন।

পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক আবেদনে হাইকোর্ট গত বছর ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে যেসকল ইটভাটা কাঠ ও পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করছে তাদের তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে লোহাগাড়ার ১১টি ইটভাটা মালিক আপিল বিভাগে আবেদন করে।

এছাড়াও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জানুয়ারি পৃথক এক আদেশে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক(ডিসি) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে নির্দেশ দেন। এবিষয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাইকোর্টের এ বেঞ্চে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!