লোহাগাড়ায় জমজমাট ঈদবাজার

লোহাগাড়ায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। দোকানগুলোতে ক্রেতা সাধারণের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সরজমিনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এই বছরও লোহাগাড়ার স্টার সুপার মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, কর্ণফুলী সিটি, এম রহমান মার্কেট, আপন শপিং সিটি কমপ্লেক্স ও চৌধুরী প্লাজাতে ভারতীয় পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় পোশাকের চাহিদা বেশি। নানারকম ডিজাইন আর হিন্দি নামানুসারে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভারতীয় পোশাকগুলো। পাশাপাশি দেশি পোশাকের চাহিদাও আছে। এই বছর মেয়েদের জন্য দোকানিরা এনেছেন গ্রাউন, প্লাজু, থ্রি-পিচ, লং কুটি, হোমল্যান্ড, জোবেদা, বিনয়, সারারা, কারিস্তা, ডিভাইডার, কাতান, জর্জেটসিল্ক, সুতিকাতান ও জামদানি শাড়িসহ বিভিন্ন ডিজাইনের জামা-কাপড়।

ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের ত্রি-পিস দেড়হাজার টাকা থেকে আট হাজার টাকার মধ্যে ও ভারতীয় শাড়ি আটশ’ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের কালারফুল শার্ট, গ্রামিণ চেক, এক কালারের শার্ট, জিন্স ও গার্মেন্টসের রকমারি শার্ট-প্যান্টের পাশাপাশি বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

স্টার সুপার মার্কেটের শৈল্পিক ও শিশু ব্রান্ড শৈশবের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসাইন বলেন, প্রতিটি পোশাকই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। বিক্রি ভালো হওয়ায় মালিকও সন্তোষ্ট রয়েছেন। প্রথম দফায় আমদানিকৃত পোশাক বিক্রি প্রায় শেষ। নিন্ম-মধ্যবিত্তদের সুবিধার জন্য কম দামে পোশাকও রাখা হয়েছে।

চমক প্লাসের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল বলেন, দেশীয় পোশাকের চেয়ে ভারতীয় পোশাক বেশি পছন্দ করছে ক্রেতারা।
কলেজ পড়ুয়া তারিন বলেন, ঈদের পোশাকে একধরনের প্রতিযোগিতা থাকে। যাতে দামের চেয়েও আকৃষ্ট করার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। তবে প্রতিযোগিতায় দেশীয় পোশাক স্থান পাচ্ছে কম।
পূর্ব লোহাগাড়া হাজীরপাড়া থেকে আসা ক্রেতা নাঈম বলেন, ভারতীয় ত্রি-পিসের ডিজাইন ও কালার বেশ ভালো লাগছে। মধ্যবিত্তদের জন্য দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে।

এরাবিয়ান চুড়ির সাদ্দাম সিকদার বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিক্রি বাড়লেও লাভ কম হচ্ছে। পণ্যের দাম গত বছরের চেয়ে একটু বেশি। তবে দাম ধরে রাখার কারণে তার দোকানে বিক্রি ভালো হচ্ছে। ঈদেরবাজারে এখনো পর্যন্ত শাড়ির প্রতি আকর্ষণ কম। বিভিন্ন শাড়ির দোকান ঘুরে জানা যায়- টাঙ্গাইল শাড়ি ৬শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা, জর্জেট শাড়ি ১২শ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা, সিল্ক শাড়ি দুই হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সুতি পাঞ্জাবি তিনশ’ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা, জর্জেট পাঞ্জাবি দেড় হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা, সিল্ক পাঞ্জাবি (ভারতীয়) দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা, জামদানি পাঞ্জাবি ৭শ’ টাকা থেকে ১৬শ’ টাকা, টিস্যু পাঞ্জাবি সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা, মটকা পাঞ্জাবি ১২শ’ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সাইজের শার্ট ৪শ’ টাকা থেকে ১৮শ’ টাকা, জিন্স প্যান্ট ছোটদের ৫শ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, বড়দের ৭শ’ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা, গার্মেন্টসের প্যান্ট-শার্ট এক হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।

ডাটা বাজারের মালিক নাজিম উদ্দিন জানান, ছোটদের জুতা স্যান্ডেল ৪শ’ টাকা থেকে ৯শ’ টাকা, বড়দের স্যান্ডেল ৬শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা, জুতা ৭শ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে এবারের ঈদ বাজারের ফুটপাতেও বিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!