চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ফারুক। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সে। বাবা জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসায় চাকরি করেন। সামান্য আয়ে সংসার চালিয়ে সবার পড়ালেখার খরচ চালাতে যেখানে তার হাসফাঁস অবস্থা, সেখানে নতুন করে যোগ হয়েছে বড় ছেলের লিভার ক্যান্সার।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফারুক লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত। যত দ্রুত সম্ভব ভারতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু যেখানে ফারুকদের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে ১০ লাখ টাকা তো পাহাড়ের মতো। তাই ফারুকের পরিবার ও সহপাঠীরা সবার কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
ফারুকের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালি উপজেলায়। গত ২ জুলাই তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। প্রথম দিকে নারায়ণগঞ্জ পপুলার হাসপাতাল ও পরে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে টাকার অভাবে হাসপাতালের খরচ চালাতে না পেরে বাড়িতে চলে আসেন। বর্তমানে বাড়িতে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছেন।
ফারুকের বাবা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, সে ঠিকভাবে কথা-বার্তা ও খাওয়া দাওয়া করতে পারছে না। তার শারীরিক অবস্থা দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি সামান্য টাকা বেতনে চাকরি করি। তবুও কষ্টেসৃষ্টে সন্তানদের পড়ালেখা করাচ্ছি। কিন্ত হঠাৎ ছেলের ক্যান্সার ধরা পড়ায় এখন দিশেহারা অবস্থা। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন প্রতিদিন ১৭০০ টাকার মতো ওষুধ লাগে। আমার অবস্থা এখন এমন, মারা গেলে কাফনের কাপড় কিনতেও চাঁদা তুলতে হবে। সবাই যদি একটু সাধ্যমতো এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো ছেলেটার চিকিৎসা করাতে পারবো।
ফারুককে সহায়তা করতে চাইলে তার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অথবা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো যাবে।
ব্যাংক একাউন্ট
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, একাউন্ট নাম্বারঃ BT-75
রূপালী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, বাহেরচর, রাঙাবালি,পটুয়াখালী।
বিকাশ: ০১৭৮৮-৭৫৮৬৭৩ (ফারুকের বাবা)
এমআইটি