লাশ গোসলের সময় পুলিশ গিয়ে দেখে গলায় রশি ও ছুরির দাগ!

রাউজানে বৃদ্ধের রহস্যজনক মৃত্যু

স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে গোসল দেয়ার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আবিষ্কার করে নিহতের গলায় রশি ও ছুরির দাগ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবার দাবি করে এটি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সর্তা গ্রামের লস্কর উজির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নিহত আহমেদ হোসেন (৫৭)। তিনি ওই এলাকার মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে।

জানা গেছে, পরিবারের লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রচার চালিয়ে লাশ গোসল দেয়ার পর ৪ টায় নামাজে জানাযা নির্ধারণ করা হয়। খবর পেয়ে বিকেল ৩টায় রাউজান থানার ইন্সপেক্টর মাসুম ও অলি এবং সাব ইন্সপেক্টর ইব্রাহিম খলিলসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে। পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে পরিবার। লাশের গলায় দাগ দেখে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের সদস্যরা রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশটি কে উদ্ধার করেছে সে বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেয়া হয়।

এদিকে নিহতের ডায়েরি পড়ে, মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রশি ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।

নিহতের ছেলে এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম নগরী থেকে বাড়িতে এসেছি।’
এ প্রসঙ্গে রাত সাড়ে ৯ টায় রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ দল পাঠিয়ে তদন্তের পর আমরা নিশ্চিত হই এটি আত্মহত্যা। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছি।’

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ভিন্ন কোন আলামত পেলে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি প্রদান করতাম না। এছাড়াও স্বজনদেরও কোন অভিযোগ নেই।’

উল্লেখ্য,নিহত আহমেদ হোসেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ উত্তর-শাখার সাবেক সভাপতি এবং লস্কর উজির জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!