লালখানবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও চারজন গ্রেপ্তার
লালখানবাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরোও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকাল তিনটার দিকে লালদিঘীর পাড় এলাকার গোলাম রসুল মার্কেটের কর্নার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা বিভাগের উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ।
আটককৃতরা হলেন মো. মাঈনুদ্দীন প্রকাশ হানিফ (৩৫), মো.ইউছুফ খান (৩৫),মো.মোর্শেদ আকবর (৩৪),আবদুল করিম প্রকাশ মারুফ (২৬)। গ্রেপ্তারকৃত চারজনই দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী বলে জানা যায়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মির্জা সায়েম মাহমুদ জানিয়েছেন, লালখান বাজারের ঘটনায় লালদিঘীর পাড় জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে হানিফ লালখান বাজারের ঘটনার চার নম্বর,ইউছুফ খান দুই নম্বর ও মারুফ সাত নম্বর আসামি। এরা সবাই খুলশী থানার দায়ের হওয়া ৫৫ নম্বর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। হানিফ চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলারও আসামি।
দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই মামলায় চার দিনে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী। তিনি আরোও বলেন, তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য শুক্রবার রাতে আবুল হাসনাত বেলালের অনুসারী সাইদুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে করে মাসুমের অনুসারীরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে লালখান বাজারে বেলালের অনুসারীরা প্রতিবাদ সভা করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের উপর মাসুমের অনুসারীরা হামলা চালায়।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে নগরীর লালখানবাজার এলাকায় এ দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হয়।
তাদের এ সংঘর্ষ থামাতে খুলশী থানা পুলিশকে ছুঁড়তে হয় বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি। তবে এর আগে মনির হোসেন নামে একজন গুলিবিদ্ধের পাশাপাশি ইট-পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন সোহেল, সুমন, কামাল ও ইমন নামে চার যুবলীগ কর্মী। দিনভর দুই পক্ষের থেমে থেমে গুলির ঘটনায় এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
এইচটি/এসএস