লালখানবাজারে আবার মনি-মাসুমের বাধা, পুলিশের পাহারায় মেয়রের ছবি টাঙিয়ে সড়ক অবরোধ
পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরাতে জেলা প্রশাসনের অভিযান
পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরাতে জেলা প্রশাসন লালখানবাজার পোড়া কলোনি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের বাধার মুখে পড়েছে।
আজ রোববার (৫ মে) সকালে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম এবং আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আখতারের নেতৃত্বে দুটি টিম দ্বিতীয় দিনের মতো লালখানবাজার মতিঝর্ণা, বাটালী হিল ও পোড়া কলোনি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে যান। এ সময় ‘উচ্ছেদের প্রতিবাদে’ কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি ও আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমের নেতৃত্বে উচ্ছেদের শিকার পরিবারগুলো সড়ক অবরোধ করে।
আকস্মিক এই অবরোধের কারণে টাইগারপাস, ওয়াসা মোড়, সাইফুদ্দিন খালেদ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ রোববার (৫ মে) দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে অবরোধ চলছে এখনও।
লালখানবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরউদ্দিনের ছবিসম্বলিত ব্যানার টাঙ্গিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমসহ আরও স্থানীয় কয়েকজন নেতা। এ সময় চারদিকে পুলিশ অবস্থান নেয়। তাদের উপস্থিতিতেই সড়ক অবরোধ হয়। পুলিশকে এ সময় নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। পরে পুলিশের পাহারায় সড়কের মাঝখানে সমাবেশ শুরু হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র দাবি করছে, পোড়া কলোনিতে ১০০ পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সাতটি বৈদ্যুতিক মিটার।
এর আগে শনিবার (৪ মে) পাহাড় ধসের শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে সরানোর অভিযানে গিয়ে লালখানবাজার এলাকার মতিঝর্নায় পিডিবির অবৈধ মিটার ও বিলের কপি জব্দ করে জেলা প্রশাসন। এ সময় বিদ্যুতের একটি ট্রান্সফরমার জব্দ করতে গেলে একইভাবে বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম বাধা দেন জেলা প্রশাসনের অভিযান পরিচালনাকারী দলকে।