লামায় ১৫ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ‘সবার জন্য বাসগৃহ’ অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১৫ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতাভুক্ত টিআর/কাবিটা কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থ দিয়ে গৃহহীন পরিবারের জন্য ‘দুর্যোগ সহনীয়’ ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ অনুযায়ী গ্রামীণ এলাকায় যে সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামান্য জমি বা ভিটা আছে, কিন্তু টেকসই ঘর নেই তাদের জন্য ৮০০ বর্গফুট জায়গায় (দুই শতাংশ) রান্নাঘর ও টয়লেটসহ একটি সেমিপাকা টিনশেড গৃহ (দুই কক্ষবিশিষ্ট) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। উক্ত প্রকল্পের আওতায় লামা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫টি ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’ নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণের স্থান নির্বাচন, তালিকা প্রস্তত ও জমি পরিদর্শনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়ন কাজে হাত দেওয়া হবে। প্রতিটি ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’ নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল, দারিদ্র বিমোচনের ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি, সামগ্রিকভাবে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসকল্পে গৃহহীন পরিবারের জন্য টেকসই গৃহ নির্মাণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কার্যক্রমের সম্প্রসারণ, নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গ্রামীণ এলাকায় শহরের সুবিধা প্রদান, এসডিজি এর ১৩নম্বর লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস।

বাসগৃহ পাবেন রুপসীপাড়া ইউনিয়নের এমন একজন সুবিধাভোগী কিরণ বালা বড়ুয়া বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার জনবান্ধব সরকার। আমাদের মতো অসহায় ও দরিদ্র জনগণের কষ্টের কথা যিনি স্বরণ রেখেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সৃষ্টিকর্তা দীর্ঘজীবি করুন।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, ‘প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে। শীঘ্রই ইউনিয়নভিত্তিক তালিকা চূড়ান্ত করে বান্দরবান জেলা কমিটির নিকট নিকট পাঠানো হবে।’

এএইচ