লামায় ভারি বৃষ্টিতে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা

টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় বান্দরবানে লামায় পাহাড়ি ঢলে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে বিপর্যয় এড়াতে পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ করছে প্রশাসন। লামায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও নিরাপদে সরে যেতে রোববার (৭ জুলাই) সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত সিদ্দিকার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।

এদিকে টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হতে পারছে না। পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তারা। শুক্রবার থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় লামা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পাহাড়ি ঝিরি, খাল ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার হাজার হাজার মানুষ। আর কয়েকদিন ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যার পাশাপাশি পাহাড় ধসে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর মো. রফিক, মো. সাইফুদ্দিন, থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আয়াত উল্লাহ।

এর আগে শনিবার দুপুর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। মাইকিংয়ের ফলে কিছু পরিবার নিরাপদে আশ্রয় কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও বেশিরভাগই বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়ে গেছেন।

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুর ইসলাম বলেন, ‘বন্যা ও পাহাড় ধসসহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পৌর এলাকায় তিনটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্নস্থানের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল খোলা রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে দুর্যোগকালে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।’

এএইচ