লামায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি, বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

বান্দরবানের লামায় এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সড়কের উপর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় শুক্রবার (১২ জুলাই) লামা-আলীকদমের সড়ক যোগাযোগ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লামাবাজার এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ ঘরবাড়ি পানির নিচে রয়েছে। লামা পৌর এলাকায় চারটি আশ্রয়কেন্দ্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও খিচুড়ি সরবরাহ করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

এক সপ্তাহ টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্ট বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল ও লামা পৌরমেয়র মো. জহিরুল ইসলাম। এদিকে বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে অবস্থানকারীদের খোঁজ-খবর নিয়েছে। তিনি জানান, বন্যাকবলিতদের জেলা পরিষদ পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া জন্য ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করার আশ্বাস দেন।

লামা উপজেলার নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি বলেন, ‌‘ভারী বর্ষণে লামা পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। চারটি আশ্রয়কেন্দ্রে অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।

লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অতি বর্ষণে লামা পৌরসভায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। মাতামুহুরি নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার কবল থেকে পৌরবাসীকে রক্ষার জন্য মাতামুহুরী নদীর গতি পরিবর্তন ও ড্রেজিং করার জোর দাবি জানান মেয়র।

এএইট

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!