লামার পাহাড়ে ঠাণ্ডা আলুর বাম্পার ফলন
বান্দরবানের লামায় পাহাড়ি অঞ্চলের জনপ্রিয় ফল ঠাণ্ডা আলু। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ মৌসুমে এর বাম্পার ফলন হয়েছে। সমতলে একে কেশর আলুও বলা হয়। তবে ইংরেজিতে এর নাম ম্যাক্সিকান টার্নিপ। বান্দরবানে মারমা ভাষায় একে বলা হয় চিংজা ম্রাউ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে মতে, এ বছরে লামা উপজেলায় প্রায় ১০-১১ হেক্টর পাহাড়ে ঢালু জমিতে এই আলু আবাদ হয়েছে।
জানা গেছে, ঠাণ্ডা আলু লামা উপজেলায় বেশিরভাগ গজালিয়া ইউনিয়নের বাণিজ্যিকভাবে আবাদ হয়েছে। এ আলুর বিশেষত্ব হচ্ছে, এটা কাঁচা খাওয়া যায় এবং খুব স্বাদের। এ আলু উপজেলার ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে চকরিয়া, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাইং চনুং মার্মা বলেন, ‘প্রতি বছর ঠাণ্ডা আলু চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগে জুমের ধান ও অন্যান্য সবজি চাষ করতেন। এখন বাণিজ্যিকভাবে এ আলু চাষ করেছেন।’
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রোবীন বলেন, ‘আঁশযুক্ত এই আলু ডায়বেটিস রোগীর জন্য খুব উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সানজিদা বিনতে সালাম বলেন, ‘ঠাণ্ডা আলুর মৌসুম সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা জুমে এ আলু চাষ করে থাকেন। জুমে ধান চাষের পাশাপাশি আলুর বীজ বপন করা হয়। ধান উঠে গেলে আলুর গাছগুলো বাড়তে থাকে। আলু বড় হলে মাটি ফাটতে শুরু করে। এ সময় আলুগুলো সংগ্রহ করা হয়। বাজারগুলোতে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।’
এএইচ