লাথি মেরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক চকরিয়ায়

কথা কাটাকাটি নিয়ে স্ত্রীর তলপেটে লাথি মারেন স্বামী। সেই লাথির আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে প্রতিবেশীরা স্ত্রী পারভীন আক্তারকে (২১) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ১৪ ঘন্টা পর শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পারভীন আক্তার।

মৃত্যুর খবর শুনে স্থানীয় লোকজন স্বামী মোহাম্মদ সোহেলকে (২৭) ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে। নির্যাতনে মৃত্যুর শিকার পারভীন আক্তার চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডস্থ মেধাকচ্ছপিয়ার মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। আটক স্বামী মোহাম্মদ সোহেল কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের মফিজ আহমদের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানান, রামুর সোহেলের সাথে চকরিয়ার পারভীনের বিয়ে এক বছর আগে। তারা প্রথমে পারভীনের বাবার বাড়িতে থাকতো। চার মাস আগে খুটাখালী বাজার সংলগ্ন শুক্কুর ড্রাইভারের কাছ থেকে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। সোহেল বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করতো। তাদের কোন সন্তান নেই।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী সোহেল স্ত্রীর পারভীনের তলপেটে লাথি মারে। ওই সময় স্ত্রীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে যান। পারভীনের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তারা পারভীনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার ১৪ ঘন্টা পর শনিবার দুপুর ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পারভীন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে পারভীন মারা যাওয়ার খবর শুনেই স্থানীয় লোকজন হত্যার অভিযোগে স্বামী সোহেলকে পাকড়াও করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে।

তিনি বলেন, পারভীনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে পুলিশ জিম্মায় নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হবে। আটক সোহেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!