লঙ্কানদের দুঃসময়ের সুযোগ নিতে মরিয়া আফগান

২০১৫ সালের পর থেকেই বেশ নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক ফর্ম মোটেই ভালো নয়। বিশ্বকাপের মঞ্চে সাড়া ফেলে দেয়ার জন্য এই সুযোগটিই কাজে লাগাতে চাইবে আফগানিস্তান। তাছাড়া ভালো ক্রিকেট খেলার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে নবি-রশিদের দলের।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের শুরুটাও ভাল ছিল না শ্রীলঙ্কার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ উইকেটের হার দিয়েই শুরু হয় মিশন। তারচেয়েও বড় কথা দল অলআউট মাত্র ১৩৬ রানে। সেই ধাক্কা সামলে উঠার বড় সুযোগ আজ মঙ্গলবার লঙ্কানদের সামনে। কার্ডিফে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।

অবশ্য আফগানদেরও বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে হার দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে দল হারে ৭ উইকেটে। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। তারাও প্রথম জয়ের খোঁজে নামছে আজ বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।

লঙ্কানদের দুঃসময়ের সুযোগ নিতে মরিয়া আফগান 1
রশিদ খান আর লাসিথ মালিঙ্গা। এ দুজনের উপরই অনেকাংশে নির্ভর করছে দলের সাফল্য

লঙ্কানদের দুঃসময়ই সাহসী করে তুলছে আফগানদের। কারণ দ্বীপ দেশটি ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সবশেষ ১০ ম্যাচের নয়টিতেই হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। সেই দলটির বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব আত্মবিশ্বাসী। জানাচ্ছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কা দল ওয়ানডেতে গত দুই বছর ধরে বাজে খেলছে। এ কারণেই ওদের বিপক্ষে ভালো করার সুযোগ রয়েছে। আমরা যদি ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারি তাহলে হয়তো ওদের হারানো সম্ভব।’

তবে প্রথম জয়ের খোঁজে আছে শ্রীলঙ্কাও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায় দলটি। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার লাসিথ মালিঙ্গা স্পষ্ট জানিয়ে রাখলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিখুঁত খেলতে হবে আমাদের। আমরা নিজেদের দক্ষতা আর কিভাবে খেলব সেটি নিয়ে ভাবছি। এটাই আমাদের এখন সবচেয়ে বড় ভাবনা। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে অবশ্যই জয় ধরা দেবে। ঘুরে দাঁড়ানোটা জরুরী আমাদের।’

তবে আফগানদের উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই সেটা মানেন মালিঙ্গা। দলটির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এই লঙ্কান বলেন, ‘ওদের দলে ভালো অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন। অনেকেই ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলেন। ওরা বেশ অভিজ্ঞ। এটাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে যা বলছিলাম, নিজেকে উজাড় করে দিতে পারলে জয় সম্ভব।’

যদিও আফগানদের সঙ্গে খেলা সবশেষ ম্যাচে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ২০১৮ সালে আবুধাবিতে এশিয়াকে আফগানিস্তান দল ৯১ রানে হারিয়েছিল লঙ্কানদের। তবে বিশ্বকাপের আগে সাক্ষাতে জয় শ্রীলঙ্কারই। ওয়ানডেতে তাদের দেখা তিনবার। যেখানে শ্রীলঙ্কা জয়ী ২ ম্যাচে। অন্যটিতে আফগানরা হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে!

সব মিলিয়ে জমজমাট ম্যাচের মঞ্চ তৈরি। এখন দেখার পালা কার্ডিফে শেষ হাসি কার? শ্রীলঙ্কা নাকি আফগানিস্তানের?

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!