লক্ষ্য ছিল ভাই, শিকার হল বোন

আদালতে বুবলি হত্যার চার্জশিট

চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার বলিরহাটে সংঘটিত বুবলি হত্যাকাণ্ডের ঠিক ১০ মাসের মাথায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) জমা দিল বাকলিয়া থানা পুলিশ। রোববার (১৫ মার্চ) মূখ্য মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুর রহমান।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে ২০১৯ সালের ১২ মে রাতে মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলম বুবলির ভাই রুবেলকে হত্যা করতে হামলা চালিয়েছিল। রুবেলকে না পেয়ে মাদকাসক্ত শাহ আলম বুবলিকে গুলি করে হত্যা করে। বুবলি হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘন্টার মাথায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন মামলার এক নম্বর আসামি শাহ আলম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে খুনি এবং হত্যার শিকার দুই জনের পাশাপাশি লাশের ছবি ছিল আলোচনার শীর্ষে।

মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় নিহত শাহ আলম রুবেলের বন্ধু হাসানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করতে চেয়েছিল। রুবেল হাসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সুস্থ করে তুলেছিল। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তখন শাহ আলম আটক হয়ে কারাগারে যায়। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে হাসান বেঁচে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই রুবেলকে খুন করতে যায়।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি নুর আলম, নবী হোসেন, মো. মুসা, মো. কবিরকে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আরেক আসামি মামুনকে ৪ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। মো. জাবেদ এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশের ধারণা সে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। মূলত জাবেদের গুলিতেই সেই রাতে শাহ আলম খুন হয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘ ১০ মাস নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে আলোচিত বুবলি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন আমরা আদালতে জমা দিয়েছি। পাশাপাশি সচিত্র প্রতিবেদন এঁকেও আদালতে জমা দিয়েছি। মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ১২ মে রাতেই পলাতক আসামি জাবেদের গুলিতে আহত হয়ে মেডিকেলে মারা যান। যা একাধিক আসামির স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছিল।

শাহ আলমের গুলিতে নিহত বুবলি বাকলিয়ার বজ্রঘোণা এলাকার নোয়া মিয়ার মেয়ে। উষমি (৬) ও রেশমি (৪) নামের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। বুবলিকে মদানি মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হলেও শাহ আলমের লাশ এলাকায় নিতে দেয়নি এলাকাবাসী। তার এক নিকটাত্মীয় লাশ গ্রহণ করে গোপনে অজ্ঞাত স্থানে দাফন করে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!