লকডাউনেও থেমে নেই আড্ডা, ঘোরাঘুরি। চায়ের দোকান, রেস্টুরেন্ট নগরের অলিগলি, রাস্তার মোড় সবখানে লোকজনের জটলা। কারো মুখে নেই মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার তাগিদ। প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত রাত-দিন চষে বেড়াচ্ছেন নগরের এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। সরকার ঘোষিত নিয়ম না মানার দায়ে জেলা প্রশাসনের ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন জরিমানা করছেন, সতর্ক করছেন। তবুও সতর্ক হচ্ছে না লোকজন।
প্রতিদিনের মত শুক্রবারও (৯ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে নগরীর কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে নি্র্দিষ্ট সময়ের পর দোকানপাট খোলা রাখার অপরাধে পুর্ব মাদারবাড়ির সাতকানিয়া স্টোরকে ৫ হাজার, সদরঘাট এলাকার নিউ মক্কা হোটেলকে ৪ হাজার, কবি নজরুল ইসলাম রোডের ক্যাফে নগরকে ২ হাজার, লালদিঘীর মোড় সিটি হোটেলকে ২ হাজার, টেরিবাজার এলাকার এমআরএ ফেব্রিকসকে ৪ হাজার, কোতোয়ালি মোড় ফুলকলি সুইটসকে ৭ হাজার, নিউ মার্কেট বনফুলকে ৬ হাজার টাকাসহ ৭টি মামলায় মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০টি মামলায় ১২ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর পাহাড়তলী হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল আরাফাত হোটেল, কাশেম হোটেল, হোটেল ব্রিজকে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩ হাজার টাকা, হালিশহর এলাকায় মেগা প্লাস ফার্নিচার ২ হাজার টাকা, গোলাপজান ফার্নিচারকে ২ হাজার টাকা, ফুলকপি সুইটসকে ২ হাজার টাকা ও পিরোজপুর স্টোরকে ৫০০ টাকা জরিমানাসহ মোট ৮টি মামলায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে নগরীর বায়েজিদ ও খুলশী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি মামলায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস নগরীর চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি মামলায় ৪০০ টাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকায় ৩টি মামলায় ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন। ৬ ম্যাজিস্ট্রেট মোট ২৪টি মামলায় জরিমানা আদায় করেছেন ৫৮ হাজার ৯০০ টাকা।
সিএম/এসএ