লকডাউনে শিক্ষকের বাসায় চুরির পর বাকলিয়ায় ৪ চোর ধরা

লোহাগাড়ার গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে এসে কলেজ শিক্ষক দেখলেন তার বাসার দরজা ভাঙ্গা ও খোলা। বেডরুমের স্টিলের আলমারির তালা ভেঙ্গে তার ভেতরে থাকা কাপড়-চোপড় ছড়ানো ছিটানো। আলমারিতে রাখা স্ত্রীর স্বর্ণালংকার উধাও। পশ্চিম বাকলিয়ার বাসাটিতে বসবাসকারী কলেজ শিক্ষক হুমায়ুর কবির থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩ মে) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কলেজ শিক্ষকের বাসা থেকে চুরি হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল মো. জসিম উদ্দিন (৩২), মো. ইমরান (২০), মো. জুয়েল (২০), ইমরান (২০)।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিযুক্তরা পরষ্পর যোগসাজসে প্রতিদিন সকাল ৭/৮ টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ঘোরে। কখনও বাসা ভাড়া হচ্ছে কী না খোঁজ নেওয়ার কথা বলে, কখনো আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা করার কথা বলে। এ সময় তারা কোন বাসা তালাবদ্ধ বা লোকজনবিহীন খালি কী না সেটি পর্যবেক্ষণ করে। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে ১-২ মিনিটের মধ্যে তালা ভেঙ্গে অথবা জানালার গ্রিল ফাঁক করে তারা বাসার ভেতরে প্রবেশ করে চুরি করে। এ পদ্ধতিতে তারা চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ২০-২৫ টি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।

বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে ঐ শিক্ষক স্বপরিবারে বাসায় তালা দিয়ে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়ায় তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান। গত ১৮ এপ্রিল বাড়ির মালিকের মাধ্যমে চুরির খবর পেয়ে নগরে ফিরে আসেন। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি মামলা দায়ের করেন গত ২২ এপ্রিল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পৃথক পৃথক অভিযানে চোরচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা আরও ২০-২৫ বাসায় চুরির কথা স্বীকার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, অভিযানে ১টি স্বর্ণের হার, ২টি স্বর্ণের ঝুমকা, ০২টি স্বর্ণের আংটি, ৫টি স্বর্ণের বেবি আংটি ও ১টি স্বর্ণের হারসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও চোরাইকাজে ব্যবহৃত একটি লোহার ছেনা, ০১টি প্লাস্টিকের বাটযুক্ত লোহার কাটার জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামাল চোরাই মালামাল নিজের বলে শনাক্ত করেছেন কলেজ শিক্ষক।

রিমান্ডের আবদন করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!