লকডাউনে রেডজোন উত্তর কাট্টলীতে বন্ধ থাকবে শিল্প কারখানাও

রেড জোন হিসেবে চট্টগ্রামের প্রথম লকডাউন হওয়া ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে শিল্প কারখানা চালু থাকা নিয়ে শুরুতে সংশয় থাকলেও অবশেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক। নতুন করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউনের সময়ে বন্ধ রাখতে হবে শিল্প কারখানার কার্যক্রমও। তবে কোনও কারখানা যদি লকডাউনের পুরো সময়ে নিজেদের কর্মীদের কারখানার ভেতরে রেখে কার্যক্রম চালাতে পারে সেক্ষেত্রে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছে চসিক।

বুধবার (১৭ জুন) শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউনের প্রথমদিনে ওই এলাকার শিল্প কারখানাগুলোর কার্যক্রম চালু রাখা হলেও এদিন দুপুরে কারখানাগুলোতে অভিযান চালিয়েছে লকডাউন বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় প্রশাসন। দুপুর ১টা থেকে চলা এই অভিযানে লকডাউনের সময়ে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারখানা মালিকদের৷

অভিযানে অংশ নেওয়া স্থানীয় কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কারখান বন্ধ থাকবে না খোলা থাকবে এটা নিয়ে একটা কনফিউশন ছিল। তবে এটা কারখানা মালিকদের কনফিউশন। আমাদের কথা হলো সংক্রমণ ঠেকানোর জন্যই এই লকডাউন। এখন যদি কারখানা খোলা রাখা হয়, কারখানায় লোকজন যাওয়া-আসা করবে। এতে করে মূল উদ্দেশ্য সফল হবেনা। তাই আমরা কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে বলেছি।’

‘তবে কেউ যদি কারখানার কার্যক্রম চালু রাখতে চায় তবে একটা শর্তে চালু রাখা যাবে এমন সুযোগও আমরা রেখেছি। বলেছি, যদি কোনও গার্মেন্টস তাদের এরিয়ার ভেতরে কর্মীদের রেখে কার্যক্রম চালাতে পারে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে আমরা রাস্তায় কাউকে দেখতে চাই না। চলাচলে নিয়ন্ত্রণ চাই।’ যোগ করেন কাউন্সিলর মঞ্জু।

এদিকে, দুপুর ১টা থেকে চলা অভিযানে কাউন্সিলর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চসিকের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও পুলিশের প্রতিনিধি।

প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার (১৬ জুন) মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় থানার সাথে লকডাউন নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া স্থানীয়ভাবে ১০০ জন সেচ্ছাসেবকও লকডাইন বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে জানান কাউন্সিলর মঞ্জু।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!