লকডাউনে চট্টগ্রামে কমে যাচ্ছে করোনার পরীক্ষা, ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৯ শনাক্তের পাশে ৬ মৃত্যু

লকডাউনের কারণে চট্টগ্রামে করোনার পরীক্ষা কমে গেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত আগেরদিনের চেয়ে বেড়েছে একশরও বেশি। চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৬৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ। একই সময় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ছয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নগরের ২২৩ জন। নগরের বাইরের বিভিন্ন উপজেলার ১৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দুজন শহরের ও চারজন উপজেলার বাসিন্দা। আগের দিন চট্টগ্রামে ১ হাজার ৪৮ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ২৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশ। সেদিন চট্টগ্রামে করোনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগী ছাড়িয়ে গেল ৬০ হাজারের গণ্ডি। মোট আক্রান্ত ৬০ হাজার ৩৬৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৬ হাজার ৯৬৭ জন। আর বিভিন্ন উপজেলার ১৩ হাজার ৪০১ জন। এদের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ৭১৭ জন। এদের মধ্যে ৪৮১ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৩৬ জন।

রোববার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে ১ হাজার ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনার উপস্থিতি মিলে দিনের সর্বোচ্চ ১৩৫ জনের দেহে। এদের মধ্যে নগরের ৭৯ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৫৬ জন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬০ জনকে করোনার জীবাণু বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে নগরের ৩৯ জন। বাকি ২১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ১৯ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে ১৮ জনই নগরের, ১ জন উপজেলার।

এছাড়া, নগরীর বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্ট করানো হয় ৩৭৩টি নমুনা। তাতে করোনা পজিটিভ আসে ১০০ জনের। এর মধ্যে ৪১ জন নগরের এবং ৫৯ জন বিভিন্ন উপজেলার।

নগরীর বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগারের মধ্যে শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলে। যাদের ৬ জন নগরের এবং ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জন করোনা রোগীর হদিস পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ১৩ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ইপিক হেলথ কেয়ারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে ২১ জনই নগরের, বাকি ১ জন উপজেলার।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত রোগী পাওয়া যায় সীতাকুণ্ডে। সেখানে ৩৫ জনের দেহে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায়। এছাড়া ফটিকছড়িতে ২৩ জন, হাটহাজারীতে ২০ জন, মিরসরাইয়ে ১৯ জন, চন্দনাইশে ১০ জন, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় ৮ জন করে, সাতকানিয়ায় ৬ জন, বোয়ালখালীতে ৫ জন, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ৪ জন করে করোনা পজিটিভ রোগীর হদিস মিলে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!