লকডাউনের দোহাই দিয়ে বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল

লকডাউনে ভূতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার গ্রাহকেরা। এপ্রিল মাসে গড় হিসেবে বিল হওয়ার কারণে প্রায় দ্বিগুণ অংকে বিলের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। সমস্যা সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণের বিভাগের বিরুদ্ধে।

গ্রাহকরা বলেছেন, সারাবছরই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিড়ম্বনায় থাকি। এখন দেওয়া হচ্ছে লকডাউনে সব বন্ধ থাকার দোহাই।

তারা বলেন, হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের বিলের কপি বিতরণ ও মিটার রিড করার জন্য যথেষ্ট লোকবল থাকার পরও অফিসে বসে তারা মনগড়া বিল তৈরি করে। লকডাউন না থাকলেও এসব মিটার রিডারদের বছরে ১-২ বারের বেশি দেখা যায় না। গ্রাহকরা মিটার রিডিং দেখে বিল দিতে অনুরোধ করলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়।

তারা আরও জানান, এছাড়া মিটার রিডারের সাথে প্রতিটি এলাকায় দালাল থাকে। তারা মূলত মিটার পরিবর্তন, বিল কমানোসহ নানা কাজে তদবিরে ব্যস্ত থাকে। অদক্ষ জনবল দিয়ে বিলের কপি বিতরণ ও মিটার রিডারের কাজ করাচ্ছে বিদ্যুৎ অফিস। সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক।

লালিয়ার হাট এলাকার আশরাফ উদ্দিন সুজন, সাজ্জাদ ও চৌধুরী হাটের তোয়াহা ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাষক জানান, অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে অফিসে বিলের ফটোকপি জমা দিয়ে যেতে বলা হলেও কোন সুরাহা পাইনি। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করেছি। বিল নিয়ে তাদের দপ্তরে গেলেও নানা হয়রানি করে।

এদিকে একাধিক গ্রাহক বলেছেন, গত ৩-৪ মাস মিটার রিডিং না দেখেই অফিসে বসে তারা বিল বানায়। কোন কোন এলাকায় ৬-৮ মাসেও মিটার রিড করা হয় না। বিলের কপি নিয়ে সংশোধন করতে গেলে কেউ কথা বলতে চান না। একজন আরেকজনকে দেখিয়ে দেন। কাল আসেন বলে সময়ক্ষেপণ করেন।

জানতে চাইলে হাটহাজারী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবদুল কাদের চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গ্রাহকের অতিরিক্ত বিলের সমস্যা নিয়ে আসলে ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। করোনার কারণে মিটার রিডারদের অনেক এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। তাই আগের মাসের রিডিং দেখে বিল করেছি। তাই বিল একটু কমবেশি হতে পারে। এটি আমরা পরবর্তী মাসে এডজাস্ট করে দেব। তবে তিনি বিলের কপি নিয়ে অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হয়রানির বিষয়টি অস্বীকার করেন।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!