এটা কোনো লকডাউন নয়, হয়নি কোনো জরুরি অবস্থা জারিও। শুধু শুনেছেন মনিটরিং আসবে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করে ক্রেতা ও বিক্রেতা পালিয়ে জনমানব শূন্য হয়ে পড়ে পুরো বাজারজুড়ে। এমনকি দূরে থেকে দিচ্ছে না কেউ উঁকি। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজার এলাকায়।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত হয়ে আনোয়ারার হাট-বাজারগুলোতে বিক্রেতারা দ্রব্যমূল্যে দ্বিগুণ বাড়িয়ে নিলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জোবায়ের আহমদ নামেন অভিযানে। সামাজিক যোগাযোাগ মাধ্যম সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিদিন বিভিন্ন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে করেন অর্থদণ্ড। সাধারণ মানুষ তাকে জানাতে থাকেন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ, তিনিও দ্রুত গিয়ে দেন সমাধানও। সাধারণ মানুষ তার এ উদ্যোগকে জানান স্বাগত।
এরই ধারাবাহিকতা যাওয়ার কথাও ছিলেন জুঁইদন্ডী এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে, কিন্তু যাওয়ার আগে ভয়ে দোকানিরা করে দেন লকডাউন। এতে ভোগান্তিতে পড়ে ঐ এলাকার শতাধিক মানুষ।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে আইনানুগ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এএইচ