সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘কঠোর লকডাউনে’ চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খোলা থাকবে ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’। সরকার এ বিষয়ে ইতিমধ্যে অনুমতিও দিয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনে’ জরুরি কিছু পরিষেবা ছাড়া বাকি সবকিছুই বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে সরকার। এ সময় বন্ধ থাকবে সব ধরনের যানচলাচলও। বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাকশ্রমিকদের কারখানায় কিভাবে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়েও ভাবছে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
জানা গেছে, শুধু চট্টগ্রামে সচল গার্মেন্টসের সংখ্যা তিনশতের কাছাকাছি। এসব তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন অন্তত চার লাখ শ্রমিক। যানচলাচলই যেখানে বন্ধ থাকছে, সেখানে এতো বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে কিভাবে কারখানায় আনা সম্ভব— এ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
বিজিএমইএ চট্টগ্রামের সদ্য সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আতিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সরকার সহযোগিতা দিলে এটা কঠিন কিছু নয়। চট্টগ্রাম ইপিজেডের আশেপাশেই প্রায় ৬০ ভাগ শ্রমিকের আবাসস্থল। অনুমতিসাপেক্ষে তারা সেখান থেকে অনায়াসে কাজে যোগ দিতে পারবে। অন্যদিকে পোশাকশ্রমিক অধ্যুষিত চকবাজার-কালুরঘাট এলাকা থেকে বাকি শ্রমিকদের কারখানায় যাওয়ার বিশেষ পাসের ব্যবস্থা করে দিলেই আর চলাচলের সমস্যা থাকছে না।’
তবু লকডাউন চলাকালে দূরের শ্রমিকদের জন্য সাময়িক একটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। সেক্ষেত্রে কারখানা থেকে দূরে বসবাস করেন যেসব শ্রমিক, লকডাউন চলাকালে তাদেরকে কারখানার আশেপাশে কিংবা কারখানার ভেতরেই রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।
তবে কৌশল নির্ধারণের ব্যাপারে সবকিছুই নির্ভর করছে বিজিএমইএ ক্রাইসিস কমিটির সভা ঘিরে। শনিবার (২৬ জুন) বিকেল চারটায় ওই কমিটির সভা আছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ নেতা মোহাম্মদ আতিক।
করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাওয়ায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ‘কঠোর’ এই লকডাউন চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন এবং গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
সিপি