লকডাউনেই দোকান খোলা, বেশি দামে পণ্য বিক্রি

নগরজুড়ে অভিযানে ৪৭ হাজার টাকার দন্ড

সামাজিক দূরত্ব অমান্য, অযথা বাইরে ঘোরাঘুরিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত পৃথক অভিযানে ৪২টি মামলায় ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরজুড়ে এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন। অভিযানকালে সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখা, বাইরে আড্ডাবাজি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অধিক দামে বিক্রি করায় পৃথক ১০টি মামলায় ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন তিনি।

বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় ১টি মামলায় ২০০০ টাকা জরিমানা করেন।

অপরদিকে চান্দগাঁও, চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন। তিনি ৮টি পৃথক মামলায় ১১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেন।

নগরীর হালিশহর, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানা এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কায়সার খসরু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তিনি ২টি মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সদরঘাট, কোতোয়ালী ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযানে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা বিভিন্ন অপরাধে ৬টি মামলায় ৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া, পাঁচলাইশ, খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চাই থোয়াইহলা চৌধুরী অভিযান চালিয়ে ৩টি মামলায় ৮০০ টাকা জরিমানা করেন।

লকডাউনেই দোকান খোলা, বেশি দামে পণ্য বিক্রি 1লকডাউনেই দোকান খোলা, বেশি দামে পণ্য বিক্রি 2

বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় এলাকায় পৃথক ২টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুবকর সিদ্দিক।

অপরদিকে, চান্দগাঁও, চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ১০টি মামলায় ৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কেএম ইশমাম।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!