লংগদুর ‘অভয়াশ্রমে’ বসতি, হাতি-মানুষ মুখোমুখি

বুনোহাতির তাড়ায় এবার পা ভাঙল কৃষক

রাঙামাটির লংগদুর ভাসান্যাদম ইউনিয়নে বুনোহাতির দল চলাফেরা করে। আগে ইউনিয়নটি ‘অভয়াশ্রম’ হিসেবে ব্যবহার করে আসলেও এখন বসতি গড়ে ওঠায় হাতিরপালের চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায়ই হাতি ও মানুষ মুখোমুখি হয়ে পড়ছে। এতে বেঘোরে মারা পড়ছেন নিরস্ত্র মানুষ। আবার অনেকেই বেঁচে ফিরলেও অঙ্গহানী কিংবা পঙ্গুত্বকে বরণ করছেন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বুনোহাতির মুখে পড়ে ওয়ারেছ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে একটি পা ভেঙে গেলেও আপাতত বেঁচে গেছেন ওয়ারেছ। মারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নের পশ্চিম চাইল্যাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষক ওয়ারেছ আলী ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

স্থানীয় ভাসান্যাদাম ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে কৃষক ওয়ারেছ আলী নিজ জমিতে সেচ দিতে যাওয়ার সময় পথে বুনোহাতির আক্রমণের শিকার হয়। এতে ওয়ারেছের একটি পা ভেঙে গেছে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিলে লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে বুনোহাতির পাল ছুটে আসে। এতে মাঝে মাঝেই হাতির মুখোমুখি হয়ে পড়ে মানুষ। রাতের বেলায় ভয়টা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তখন পটকা ফাটিয়ে কিংবা শব্দ করে আগুন জ্বালিয়ে হাতিরদলকে তাড়ান গ্রামবাসীরা। কিছুদিন শান্ত থেকে ফের লোকালয়ে ছুটে হাতি। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফসল বসতবাড়িও নষ্ট হয়।

লংগদু প্রেস ক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক মুছা বলেন, ‘লংগদুর ভাসান্যাদম, গুলশাখালী ও বগাচত্বর তিন ইউনিয়নে এখন হাতির অবাধ বিচরণ আছে। কাছেই হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের ‘পাবলাখালী অভয়াশ্রম’ থেকে হাতির পাল চলে আসছে। তবে বনবিভাগ কেউ মারা গেলে একলাখ ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা এককালীন সহায়তা দিলেও হাতির পাল সরিয়ে নিতে খুব বেশি উদ্যোগ নেয় না।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!