লংগদুতে ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে দোকান কারখানাসহ ৭০ বসতঘর

রাঙামাটির লংগদুতে ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে দোকান ও কারখানাসহ ৭০টি বসতঘর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫৫টি পরিবার। মঙ্গলবার (২ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার মাইনীমুখ বাজার ঢাকাইয়াটিলা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীরা জানায়, রাতে স্বাভাবিক নিয়মে মানুষ ঘুমিয়েছিল। কিন্তু মধ্যরাতে হঠাৎ করেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে দোকান ও ফার্নিচার কারখানাসহ ৭০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেড় শতাধিক পরিবার। আগুন লাগার দেড় ঘণ্টা পর পাশের জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এর আগে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় এলাকাবাসী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। পরে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রবীর কুমার রায় বলেন, ‘ভয়াবহ আগুনে ৭০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড়শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ধারণা করছি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকারও বেশি হবে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ৩০ কেজি করে চাল, তেল, আলু ও রান্নার উপকরণ দেওয়া হয়েছে।’
Langadu-Fire

লংগদু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাইনীমুখ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর সিরাজুল ইসলাম ঝান্টু চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তদন্ত করে তালিকা করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লংগদু সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিরাজ হায়দার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রবীর কুমার রায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. জানে আলম, লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাল পাশা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!