চট্টগ্রামের পতেঙ্গার মুসলিমাবাদ এলাকার জেলে পাড়ায় আতঙ্কের নাম মকসুদ জলদস্যু। সে জেলেদের নানাভাবে অত্যাচার নিযার্তন করে চাঁদা আদায় করে। তার চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ জেলেরা। তার কথামত কেউ চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে তার নৌকাটিও কেড়ে নেয় এই জলদস্যু। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চাঁদাবাজি করে আসলেও সে ছিল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে র্যাবের হাতে নৌকাসহ ধরা পড়ায় স্বস্থি ফিরে এসেছে জেলে পাড়ায়।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) নগরীর পাহাড়তলী ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের ইস্পাহানি সামিট অ্যালাইয়েন্স টার্মিনালের ভেতর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জলদস্যু মো. মকসুদ আলম (৩৯) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার আলী আকবরের ডেইল ইউনিয়নের সামসুল আলমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি জানান, ৮ এপ্রিল জলদস্যু মকছুদ পতেঙ্গার কাঠগড় মুসলিমাবাদ এলাকার মো. মুসলিম মিয়ার মাছ ধরার নৌকা নিয়ে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অভিযোগ পেয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পশ্চিম তাবলারচর এলাকার বেড়িবাঁধ থেকে নৌকাটি উদ্ধার করে র্যাব-৭। এরপর র্যাব মকসুদের গতিবিধির উপর নজর রাখে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের ইস্পাহানি সামিট অ্যালাইয়েন্স টার্মিনালের ভেতর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মামলা দায়ের করে পতেঙ্গা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া।
সিএম/এসএ