র‌্যাবকে মাদকের তথ্য দিয়ে ফিশারিঘাটে হামলার শিকার স্বামী-স্ত্রী

মাদকের বিরুদ্ধে র‌্যাব সদস্যদের তথ্য দেওয়ায় চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ফিশারিঘাট এলাকায় ফাতেমা বেগম (৫০) ও তার স্বামীর ওপর হামলা চালিয়েছে মদ ব্যবসায়ী অনুপ বিশ্বাসের ব্যবসায়িক অংশীদার সাগর দাশ ও তার সহযোগীরা।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ফাতেমা বেগম ওই এলাকার আলী বিল্ডিংয়ের মো. রফিকের স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ফিশারিঘাটে এসেই ফাতেমা বেগমের দোকানের সামনে এসে থামে র‌্যাব-৭ এর দুটি টহল গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা ফাতেমা বেগমের দোকানে চলে যায় র‌্যাব সদস্যরা। তারা এ সময় মাছ আহরণ ও অন্যান্য বিষয়ে কিছু তথ্য নেয় ফাতেমার কাছ থেকে। কিছুক্ষণ পর র‌্যাবের গাড়ি চলে যাওয়ার আধঘন্টা পর স্বামী-স্ত্রী দুজনই দোকান বন্ধ করে বাসার উদ্দেশ্যে বের হন। তারা মসজিদের সামনে আসলে মাদক ব্যবসায়ী সাগর দাশের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল একযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ফাতেমা ও তার স্বামী গুরুতর আহত হন। এ সময় ফাতেমা ও তার স্বামীর কাছ থেকে দোকানের ৫৫ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।

জানা যায়, সর্বশেষ চলতি বছরের ২৬ আগস্ট কোতোয়ালী থানার ফিশারিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনুপ বিশ্বাসের মদের মহাল থেকে ৩০ হাজার লিটার মদ জব্দ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। এ সময় ৪৫ জন মাদকসেবীকে আটক করা হয়। ফিশারিঘাট এলাকায় বৈধ মদের মহালের আড়ালে চট্টগ্রামজুড়ে বেপরোয়া অবৈধ চোলাই মদ ব্যবসা করার অভিযোগ অনুপ বিশ্বাস ও তার সহযোগী সাগর দাশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

জানতে চাইলে ফাতেমা বেগম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় আমি ও আমার স্বামী দোকান বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার সময় সাগর দাশ ও তার সহযোগীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচণ্ড জখম হয়। এ সময় আমার কাছে থাকা দোকানের ৫৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় পাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফাতেমা বেগম ও তার স্বামীর বিষয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!