রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার পানির তীব্র সংকট

পানির স্তর ৫৫ থেকে ৬০ ফুট নিচে নেমে গেছে

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পানির চাহিদা পূরণে বিভিন্ন সংস্থা জরুরিভিত্তিতে টিউবওয়েল স্থাপন করেছিল। এখন প্রায় সবগুলো টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইতোমধ্যে প্রায় টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অল্পসংখ্যক গভীর নলকূপে পানি আসলেও সবার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট।

রোববার উখিয়ার কুতুপালং, মধুরছড়া, লম্বাশিয়া, ময়নারঘোনা, তাজনিমারখোলা, বালুখালী, ক্যাম্প ঘুরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তাদের অভিযোগ টিউবওয়েল স্থাপনের নামে এনজিও সংস্থা নাম সর্বস্ব টিউবওয়েল বসিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছেন।

রোহিঙ্গা মাঝি হামিদ হোসেন জানান, তাদের ক্যাম্পের একটি টিউবওয়েলেও পানির নাগাল পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেকেই বাজার থেকে বোতলজাত পানি ক্রয় করে তৃষ্ণা নিবারণ করছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য মিলছেনা পানি । এছাড়া শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। এছাড়া পানির চাহিদা মেটাতে সরকারিভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও তা অপ্রতুল।

উখিয়ার থাইংখালী তাজনিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার শুরুতেই নলকূপ বসানোর হিড়িক পড়েছিল। ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ আলী জানান, এলাকাবাসীর বাসাবাড়ি থেকে অনেকেই পানি সরবরাহ করছে। তবে রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগ খাল, নালা, পুকুর ও জলাশয়ের পানি ব্যবহার করছে। এতে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য রোহিঙ্গা।

উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় বিভিন্ন এনজিও সংস্থার পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে যেসমস্ত টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল তার গভীরতা হচ্ছে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ ফুট। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানির স্তর নেমেছে ৫৫ থেকে ৬০ ফুটে। যার কারণে এসব টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, টিউবওয়েল অকেজো হলেও ক্যাম্পগুলোতে পানি সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কাজ করছে। এমনকি বিভিন্ন ক্যাম্পে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গাড়ি ভর্তি করে পানি সরবরাহ দেয়া হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!