রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শিশুর মৃত্যু, পুড়ে ছাই ৩ শতাধিক ঘর

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে চার বছর বয়সী এক শিশু। পুড়ে গেছে তিন শতাধিক ঘর।

নিহত শিশুর পরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পের ‘বি’ ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামের একটি ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুনে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যাওয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় হারায়।

এছাড়া গত ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালের জেনারেটর থেকেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সেই আগুনে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তবে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়।

স্থানীয়দের মতে, বার বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা−এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন ও পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শিশু দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। তবে মারা যাওয়া শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আগুনে প্রায় ৩ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, আগুন লাগার পর প্রথমে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে কক্সবাজার থেকে আরও দুটি ইউনিটকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়। দীর্ঘ সময়ের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ক্ষতিগ্রস্ত উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা শফিউল্লাহ বলেন, আগুনে পুড়ে সব নিঃস্ব হয়ে গেছি। এখানে সাড়ে ৪০০ ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। সেখানে বেশ কিছু দোকানপাটও ছিল। আগুন লাগার ঘটনায় চার বছরের এক শিশু মারা গেছে।

ক্যাম্পের বাসিন্দা সাদেক ও মো. নুর বলেন, ক্যাম্পের একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!