রোহিঙ্গাদের জন্য অস্ত্র তৈরি, মুক্তি এনজিও বন্ধ করে দিল ব্যুরো

কক্সবাজারে শরণার্থী হিসেবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণের জন্য বিশেষ দেশি অস্ত্র তৈরির অভিযোগে ‘মুক্তি’ নামের একটি এনজিওর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। কক্সবাজারে সক্রিয় এনজিওটির ছয়টি প্রকল্পসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এনজিও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা এনজিও ব্যুরো। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, যে কোন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদন লাগে। দেশের সকল এনজিও এই অনুমোদন নিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশি-বিদেশি সবগুলো এনজিওগুলোও একই নীতি মেনে কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের মাঝে দেশীয় অস্ত্র বিতরণের এই প্রকল্পটি সম্পর্কে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনও এই বিষয়ে অবগত ছিল না।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ‘মুক্তি’ এনজিও ব্যুরোকে অবগত না করে গোপনে ওইসব অস্ত্র তৈরি করে তা রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহ করছিল। এই কার্যক্রমের সাথে তাদের অসৎ কোন উদ্দেশ্য জড়িত ছিল। মুক্তি’র ছয়টি প্রকল্পের সকল ধরণের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি এই বিষয়ে তদন্তও চলেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট সোমবার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কোটবাজারের ভালুকিয়া সড়ক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণের জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্থা ‌‘মুক্তি কক্সবাজার’ এসব অস্ত্র তৈরি করার ফরমায়েশ দিয়েছিল। এসব অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়। টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য ৬ হাজার দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে চাইছিল ‘মুক্তি’।

জানা গেছে, মুক্তি কক্সবাজার এনজিওটির সভাপতি শিবুলাল দেবদাস ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলদীঘির পশ্চিমপাড় এলাকার হরিদাস দেবদাসের ছেলে শিবু লাল দেবদাস (৬১) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা।

এসসি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!